হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়-হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়-হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। প্রথমত, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরকে শিথিল করার চেষ্টা করা উচিত, কারণ চাপ কমলে রক্তচাপও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। দ্বিতীয়ত, লেবু-পানি পান করলে শরীরের ভেতরের সঞ্চালন ঠিক
থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া রসুনও হাই প্রেসার কমানোর জন্য কার্যকর, কারণ এতে রয়েছে অ্যালিসিন, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি, কারণ ডিহাইড্রেশন প্রায়ই রক্তচাপ বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। এসব ঘরোয়া উপায় কিছুক্ষেত্রে সাময়িকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
থাকে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া রসুনও হাই প্রেসার কমানোর জন্য কার্যকর, কারণ এতে রয়েছে অ্যালিসিন, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি, কারণ ডিহাইড্রেশন প্রায়ই রক্তচাপ বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। এসব ঘরোয়া উপায় কিছুক্ষেত্রে সাময়িকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
কি কি খাবার খেলে প্রেসার বাড়ে
উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হয়। কিছু খাবার আছে যা নিয়মিত গ্রহণ করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। নিচে এমন কিছু খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. লবণ এবং উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার:লবণ (সোডিয়াম) উচ্চ রক্তচাপের প্রধান একটি কারণ। লবণ বেশি গ্রহণ করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, কারণ এটি শরীরে পানি ধরে রাখে এবং রক্তনালীগুলোর উপর চাপ বাড়ায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন চিপস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, প্রক্রিয়াজাত মাংস (হটডগ, সসেজ), এবং ক্যানড স্যুপে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। তাই এসব খাবার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
২. চিনি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার:মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং পানীয়, বিশেষ করে ফ্রুকটোজ সমৃদ্ধ সিরাপ বা প্রক্রিয়াজাত চিনি রক্তচাপ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। মিষ্টি পানীয়, ক্যান্ডি, কেক এবং পেস্ট্রি ইত্যাদি অতিরিক্ত চিনি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা ওজন বাড়ায় এবং এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং রেড মিট:প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন বেকন, সসেজ, এবং সালামিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। রেড মিটও উচ্চ রক্তচাপের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এতে চর্বি এবং সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তচাপের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪. ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার:ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ পরিমাণে লবণ, চিনি, এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত ফাস্ট ফুড যেমন বার্গার, ফ্রাই, এবং পিজ্জা খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়:ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, বিশেষ করে কফি এবং এনার্জি ড্রিংক, রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বাড়ায় এবং সাময়িকভাবে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যারা নিয়মিতভাবে বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে।
৬. অ্যালকোহল:অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহল রক্তনালীগুলোর প্রাচীরকে কঠোর করে তোলে এবং এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। যারা নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন, তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পানীয়ের পরিমাণ কমানো উচিত।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়
৭. কনসারভেটিভ ডেজার্ট এবং প্রক্রিয়াজাত বেকারি আইটেম:বেকারি আইটেম যেমন কুকিজ, কেক, পেস্ট্রি, এবং ডোনাটে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা রক্তচাপ বাড়াতে সহায়ক। এসব খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি পায়, যা উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম একটি কারণ।
৮. পনির এবং দুগ্ধজাত খাবার:পনির এবং উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ থাকে, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত পনিরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তচাপের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৯. স্ন্যাকস এবং প্যাকেটজাত খাবার:স্ন্যাকস যেমন প্রেটজেল, চিপস, এবং মাইক্রোওয়েভ পপকর্নে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এসব খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১০. ফ্রোজেন খাবার:ফ্রোজেন খাবার, যেমন ফ্রোজেন পিজ্জা, ফ্রোজেন মিটবল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়
উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) বর্তমানে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা যেকোনো সময় হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা হাইপারটেনসিভ ক্রাইসিস হলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, বা অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে
গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নিচে হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নিচে হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয় কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. শরীরকে শান্ত রাখুন এবং গভীর শ্বাস নিন:হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রথম করণীয় হলো শরীরকে শান্ত রাখা। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ রক্তচাপকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ধীরে ধীরে এবং গভীর শ্বাস নিন, যাতে শরীরের অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং স্নায়ু শিথিল হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
২. লবণযুক্ত খাবার পরিহার করুন:রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে গেলে লবণযুক্ত বা উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। লবণ রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে, তাই এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া, স্যুপ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, বা প্যাকেটজাত স্ন্যাকস এই সময় খাওয়া ঠিক নয়।
৩. পানি পান করুন:ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব রক্তচাপ বৃদ্ধির একটি সাধারণ কারণ হতে পারে। তাই এই সময় প্রচুর পানি পান করা উচিত। পানি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. আরামদায়ক অবস্থানে বসুন:হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে আরামদায়ক অবস্থানে বসা বা শুয়ে পড়া উচিত। যদি সম্ভব হয়, একটি চেয়ারে বসে পা মাটিতে রেখে হাতকে আরামে রাখুন। আরামদায়ক অবস্থানে বসলে স্নায়ু শিথিল হয় এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
৫. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন:ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নেয়া এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়া রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়াটি ৫-১০ মিনিট ধরে চালিয়ে যাওয়া উচিত। এতে করে রক্তনালীগুলোর চাপ কমে এবং রক্ত সঞ্চালন নিয়মিত হতে থাকে।
৬. হালকা ব্যায়াম করা:যদি শারীরিকভাবে সক্ষম হন, তবে কিছু হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। হাঁটা, ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং ইত্যাদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ তা রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৭. মেডিকেশন (যদি প্রয়োজন হয়):যদি আপনার চিকিৎসক পূর্বে কোনো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন, তবে তা গ্রহণ করা উচিত। তবে, ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ এবং ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করতে হবে।
৮. রসুন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান:রসুন প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যালিসিন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, লেবু-পানি, আদা চা, এবং তুলসীর পাতার রসও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৯. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:যদি রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে যায় এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
১০. দুশ্চিন্তা এবং স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন:দুশ্চিন্তা এবং স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারণ। তাই স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা অন্য কোনো রিল্যাক্সেশন পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। সঠিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়
উচ্চ রক্তচাপ, বা হাই ব্লাড প্রেসার, একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা নিয়ন্ত্রণে না রাখা হলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
সম্ভব। কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমানো সম্ভব। নিচে হাই প্রেসার কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
সম্ভব। কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমানো সম্ভব। নিচে হাই প্রেসার কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. রসুনের ব্যবহার:রসুন প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক যৌগ রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে এবং রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে বা খাবারে রসুন ব্যবহার করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রসুনের গুঁড়ো বা ক্যাপসুলও বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. লেবু-পানি পান করা:লেবু রক্তনালীগুলোর নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। লেবুর রস শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয়, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. তুলসী পাতা:তুলসী পাতার রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ তুলসী পাতার রস পান করা উচিত।
৪. দারুচিনি এবং মধু:দারুচিনি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। দারুচিনি রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. আদা চা:আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমায়। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক এবং রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে। প্রতিদিন আদা চা পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আদা কাঁচা বা গুঁড়ো হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. কলা খাওয়া:কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দেয় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুই-তিনটি কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও, অন্যান্য পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, আম, এবং পেঁপে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৭. তাজা সবুজ শাক-সবজি:সবুজ শাক-সবজি, বিশেষ করে পালং শাক, ব্রকলি, এবং ক্যাল শাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এগুলোতে থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রক্তচাপ কমাতে কাজ করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি রাখা উচিত।
৮. ওটমিল:ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কম পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সকালের নাশতায় ওটমিল খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল থাকে। ওটমিলের সাথে বাদাম, বেরি, বা কলা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৯. বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবার:বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আখরোট, আমন্ড, এবং চিয়া সিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এই ধরনের বাদাম এবং বীজ রাখা উচিত।
১০. ব্যায়াম এবং মেডিটেশন:নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, জগিং, বা যোগব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদযন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও, মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১১. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন:পানি শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। ডিহাইড্রেশন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, তাই শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখা জরুরি।
১২. চিনি এবং প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন:চিনি এবং প্রসেসড খাবার উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। এই ধরনের খাবার বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার পরিহার করে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
উপসংহার:হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাৎক্ষণিক কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমন, শারীরিক ও মানসিকভাবে শান্ত থাকা, পর্যাপ্ত পানি পান, লবণযুক্ত খাবার এড়ানো এবং প্রাকৃতিক উপাদান যেমন রসুন, লেবু-পানি, এবং আদা চা গ্রহণ করা সহায়ক হতে পারে। তবে, ঘরোয়া উপায়গুলি সাময়িক সমাধান দিতে পারে, তাই দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url