বন্যার পর পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়
বন্যার পর পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়
বন্যার পরবর্তীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যায়, বিশেষ করে পানিবাহিত রোগগুলোর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। বন্যার পানি মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটায়। তাই বন্যার
পর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এই নিবন্ধে বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার কিছু কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো।
পর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এই নিবন্ধে বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার কিছু কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো।
বন্যার পর পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়
বন্যার পরে পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নিচে কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো:১. নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা
বন্যার সময় এবং পরবর্তী সময়ে পানির নিরাপত্তা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্যার পানি দূষিত হয়ে যায় এবং সেই পানি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে। তাই নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত:
- সেদ্ধ পানি পান করা: পানির মাধ্যমে রোগ ছড়ানো থেকে বাঁচতে সেদ্ধ পানি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। পানিকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু ধ্বংস হয়।
- পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট: যদি পানি সেদ্ধ করার সুযোগ না থাকে, তবে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বা ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- নলকূপ বা গভীর নলকূপের পানি: সম্ভব হলে নলকূপের বা গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করা উচিত, কারণ এই পানির দূষণের সম্ভাবনা কম।
২. খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা
বন্যার সময় খাবারের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং খাবার দূষিত হতে পারে। ফলে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য:
আরো পড়ুন: বন্যার কারণ ও প্রতিকার
- পুষ্টিকর এবং সঠিকভাবে রান্না করা খাবার গ্রহণ: রান্নার সময় খাবারকে পর্যাপ্ত তাপ দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করা উচিত। এতে খাদ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস হয়।
- নতুন এবং সতেজ খাবার খাওয়া: বন্যার সময় পুরনো বা নষ্ট খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবার সংরক্ষণে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- খাবার ঢেকে রাখা: খাবার খোলা রাখলে তাতে মশা-মাছি বসতে পারে, যা রোগ ছড়াতে সহায়ক। খাবার সবসময় ঢেকে রাখা উচিত।
৩. ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা
বন্যার পর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক:
- হাত ধোয়া: প্রতিবার খাবার খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহার করার পর এবং অন্যদের সাথে শারীরিক সংস্পর্শে আসার পর সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধোয়া উচিত।
- শরীর পরিষ্কার রাখা: গোসল করার জন্য পরিষ্কার পানি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া নোংরা কাপড়-চোপড় পরিবর্তন করতে হবে এবং সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে শুকাতে হবে।
৪. মশা নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা
বন্যার পানি জমে থাকা জায়গাগুলোতে মশার বংশবিস্তার ঘটে, যা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। তাই মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা দরকার:
- পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা: বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে হবে। জমে থাকা পানি মশার প্রজননের উপযোগী স্থান হিসেবে কাজ করে।
- মশারি ব্যবহার: রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে মশারির ব্যবহার জরুরি।
- মশার প্রতিরোধক ক্রিম: বাইরে বের হওয়ার সময় মশার প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
৫. স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ
যদি পানিবাহিত রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
- পানিবাহিত রোগের লক্ষণ: ডায়রিয়া, বমি, পেটের ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না।
- ওরস্যালাইন: ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ওরস্যালাইন খাওয়া উচিত।
৬. সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কমিউনিটি সহযোগিতা
বন্যা পরবর্তী সময়ে কমিউনিটির সবাইকে সচেতন করা এবং একে অপরকে সহযোগিতা করা জরুরি। নিচে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
- সচেতনতা প্রচার: স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচার করা উচিত। এ সময়ে কীভাবে নিরাপদ থাকতে হবে এবং কীভাবে পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
- প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ: কমিউনিটিতে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত তথ্য, বিশুদ্ধ পানির উৎস এবং চিকিৎসা সেবা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
বন্যার সময় হাতের কাছে কি কি খাবার রাখা উচিত
বন্যার সময় পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে উঠতে পারে, এবং অনেক সময় খাবার সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বন্যার সময় বা দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে এমন কিছু খাবার সংগ্রহে রাখা উচিত, যা সহজে নষ্ট হয় না এবং পুষ্টিকর। নিচে বন্যার সময় হাতের কাছে রাখার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
১. শুকনো খাবার
- চিঁড়া: চিঁড়া সহজে নষ্ট হয় না এবং দ্রুত খাবার প্রস্তুত করা যায়। সামান্য পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- মুড়ি: মুড়ি দ্রুত ক্ষুধা নিবারণ করে এবং সহজে খাওয়া যায়। এটি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
- বিস্কুট: শুকনো বিস্কুট বা ক্র্যাকার হাতের কাছে রাখা ভালো। এটি ক্ষুধা মেটাতে সহায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী।
২. প্যাকেটজাত খাবার
- ইনস্ট্যান্ট নুডলস: ইনস্ট্যান্ট নুডলস দ্রুত রান্না করা যায় এবং কিছুটা পুষ্টি প্রদান করে।
- প্যাকেটজাত দুধ বা দুধের গুঁড়া: প্যাকেটজাত দুধ বা গুঁড়া দুধ বন্যার সময় খুব কাজে আসতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
- প্রসেসড খাবার: বিভিন্ন ধরনের টিনজাত বা প্যাকেটজাত প্রসেসড খাবার, যেমন টিনজাত মাছ, টিনজাত শাকসবজি বা স্যুপ খুবই উপযোগী। এগুলো খাওয়ার জন্য রান্নার প্রয়োজন হয় না এবং সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
৩. শুকনো ফল ও বাদাম
- খেজুর: খেজুর শক্তি যোগায় এবং সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
- বাদাম ও বীজ: বাদাম (যেমন, চিনাবাদাম, কাজু বাদাম) এবং বীজ (যেমন, সূর্যমুখীর বীজ) শক্তি ও পুষ্টি প্রদান করে।
- শুকনো ফল: কিসমিস, আপেল বা অন্য শুকনো ফল স্ন্যাকস হিসেবে ভালো।
৪. শক্তি বার ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস
- এনার্জি বার: শক্তি বার বা প্রোটিন বার দ্রুত শক্তি যোগায় এবং সহজে বহনযোগ্য।
- গ্র্যানোলা বার: গ্র্যানোলা বার স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর একটি খাবার, যা বন্যার সময় কাজে আসতে পারে।
৫. পানি এবং পানীয়
- বাতলজাত পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল সংগ্রহে রাখতে হবে। বোতলজাত পানি না পেলে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও হাতের কাছে রাখা যেতে পারে।
- ওরস্যালাইন: পানি শূন্যতা রোধে ওরস্যালাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি দ্রুত শরীরের খনিজ লবণ পূরণে সহায়তা করে।
৬. দানাদার খাদ্য
- চাল ও ডাল: দীর্ঘদিন পর্যন্ত চাল এবং ডাল সংরক্ষণ করা যায়। এগুলো সহজে রান্না করা সম্ভব এবং পুষ্টিকর।
- ময়দা বা আটা: ময়দা বা আটা থেকে বিভিন্ন ধরনের রুটি বা অন্যান্য খাবার তৈরি করা যায়।
৭. মধু
- মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে এবং দীর্ঘদিন ভালো থাকে। এটি একটি শক্তির উৎস এবং সহজে সংরক্ষণ করা যায়।
৮. অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইটেম
- লবণ ও চিনি: এগুলো খাদ্যের স্বাদ বাড়ায় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
- চায়ের পাতা ও কফি: চা এবং কফি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব, যা মনোবল বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
বন্যার সময় হাতের কাছে কি কি ঔষধ রাখা উচিত
বন্যার সময় চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে, তাই হাতের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী রাখা উচিত। এগুলো আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ছোটখাটো অসুস্থতা এবং আঘাত মোকাবিলায় সহায়তা করবে। নিচে বন্যার সময় জরুরি ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর তালিকা দেওয়া হলো:
১. জ্বর, ব্যথা এবং প্রদাহের জন্য
- প্যারাসিটামল (Paracetamol): সাধারণ জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা বা মৃদু অসুস্থতার জন্য প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর।
- আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen): এই ওষুধটি ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
২. ডায়রিয়া এবং পানি শূন্যতার জন্য
- ওরস্যালাইন (ORS): ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি এবং লবণ বেরিয়ে গেলে ওরস্যালাইন পানির শূন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করে।
- জিঙ্ক ট্যাবলেট: ডায়রিয়া হলে জিঙ্ক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. অ্যালার্জি এবং চুলকানির জন্য
- এন্টিহিস্টামিন (Antihistamine): অ্যালার্জি বা চুলকানির জন্য এন্টিহিস্টামিন ওষুধ যেমন সিট্রিজিন (Cetirizine) বা লোরাটাডিন (Loratadine) রাখা যেতে পারে।
- ক্যালামাইন লোশন: চুলকানি বা ত্বকের প্রদাহ কমাতে ক্যালামাইন লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডার জন্য
- ডিকনজেস্ট্যান্ট (Decongestant): সর্দি, কাশি বা নাক বন্ধ থাকলে ডিকনজেস্ট্যান্ট ওষুধ সহায়ক হতে পারে।
- কফ সিরাপ: কাশির জন্য একটি কফ সিরাপ হাতে রাখা উচিত।
৫. পেটের সমস্যা এবং হজমের জন্য
- এন্টাসিড (Antacid): হজমের সমস্যা বা পেটে এসিডিটির জন্য এন্টাসিড রাখা যেতে পারে।
- ডোমপেরিডন (Domperidone) বা ওমেপ্রাজল (Omeprazole): বমি বমি ভাব বা পেটের অস্বস্তির জন্য এই ধরনের ওষুধ কার্যকর।
৬. মশা ও পোকামাকড়ের কামড় থেকে সুরক্ষার জন্য
- মশা প্রতিরোধক ক্রিম: মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মশা প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম: মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বকে প্রদাহ বা চুলকানি হলে হাইড্রোকর্টিসন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. আঘাতের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী
- ব্যান্ডেজ ও গজ: ছোটখাটো আঘাত বা ক্ষত মেরামতের জন্য ব্যান্ডেজ এবং গজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- এন্টিসেপটিক ক্রিম বা লোশন: ক্ষতস্থানে জীবাণু সংক্রমণ রোধে এন্টিসেপটিক ক্রিম যেমন বিটাডিন (Betadine) বা স্যাভলন (Savlon) ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এন্টিসেপটিক ওয়াইপস: হাত এবং ক্ষত পরিষ্কার করার জন্য এন্টিসেপটিক ওয়াইপস বা অ্যালকোহল প্যাড রাখা উচিত।
- অ্যান্টিবায়োটিক মলম: ছোট কাটা বা ক্ষত স্থানগুলো দ্রুত নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিক মলম যেমন নিওমাইসিন (Neomycin) রাখা যেতে পারে।
৮. দীর্ঘমেয়াদী রোগের জন্য জরুরি ওষুধ
- উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ: যদি পরিবারে কেউ উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের রোগী থাকেন, তবে তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রাখা জরুরি।
- অ্যাজমা ইনহেলার: অ্যাজমার রোগীরা ইনহেলার সবসময় হাতের কাছে রাখবেন।
৯. অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী
- থার্মোমিটার: জ্বর মাপার জন্য একটি ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা উচিত।
- ফার্স্ট এইড বক্স: প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ফার্স্ট এইড বক্স সংগ্রহে রাখা উচিত।
- গ্লাভস এবং মাস্ক: স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে গ্লাভস এবং মাস্ক রাখা উচিত।
উপসংহার:বন্যা পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য ব্যক্তিগত সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুবই জরুরি। নিরাপদ পানি ব্যবহার, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং মশা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ এবং কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধি করে বন্যার পর বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।
আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url