হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

পরিচয়

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ইসলামের শেষ নবী এবং রাসূল। তার জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা শহরে। তার পিতা আবদুল্লাহ এবং মাতা আমিনা। তার পিতামহ আবদুল মুত্তালিব এবং মাতামহ ওহাব বিন আবদু মানাফ। জন্মের আগে তার পিতা মারা যান এবং শৈশবেই মাতা হারান।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শৈশব ও যৌবন

শৈশব

হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার একটি সম্মানিত কুরাইশ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব তার জন্মের আগেই মৃত্যুবরণ করেন এবং তার মা আমিনা বিনতে ওহাব ছয় বছর বয়সে মারা যান। অতঃপর তার দাদা আবদুল মুত্তালিব তার দায়িত্ব নেন, কিন্তু দু'বছর পর তিনিও ইন্তেকাল করেন। এরপর তার চাচা আবু তালিব তাকে লালন-পালন করেন।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী


শৈশবের ঘটনা

শৈশবে মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ। তিনি পশুচারণ করতেন এবং মক্কার পাহাড়ে এবং মরুভূমিতে একাকী সময় কাটাতেন। তার সততা এবং ন্যায়পরায়ণতা তার সমসাময়িকদের মাঝে বিশেষভাবে পরিচিত ছিল।

যৌবন

যৌবনকালে মুহাম্মদ (সা.) একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন বাণিজ্য অভিযানে অংশ নেন এবং তার সততা ও নৈতিকতার জন্য পরিচিত হন। তার সততা এবং বিশ্বস্ততার কারণে তিনি "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) এবং "আস-সাদিক" (সত্যবাদী) নামে পরিচিত হন।

বিবাহ

মুহাম্মদ (সা.) ২৫ বছর বয়সে খদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ নামে এক ধনাঢ্য বিধবার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খদিজা ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী এবং মুহাম্মদ (সা.) তার ব্যবসায়ে কাজ করতেন। তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল এবং তাদের বিবাহিত জীবন ছিল অত্যন্ত সুখী।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নবুয়তপ্রাপ্তি

প্রেক্ষাপট

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নবুয়তপ্রাপ্তির সময়কার আরব সমাজ ছিল গভীর অজ্ঞতা, কুসংস্কার, এবং অনাচারে নিমজ্জিত। মক্কার অধিবাসীরা পৌত্তলিকতা ও অশ্লীলতায় লিপ্ত ছিল। তারা বহু দেব-দেবীর উপাসনা করত এবং সমাজে নারীর অবস্থান ছিল অত্যন্ত নিচু। এমন এক সময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তের মর্যাদায় ভূষিত হন, যাতে তিনি মানুষকে তাওহিদের পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন এবং সমাজে ন্যায়, সত্য এবং সমতার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।

প্রথম ওহি

মুহাম্মদ (সা.) ৪০ বছর বয়সে মক্কার পার্শ্ববর্তী হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন। ৬১০ খ্রিস্টাব্দের এক পবিত্র রাত্রে রমজান মাসের ২৭ তারিখে (যা লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত) তার প্রতি প্রথম ওহি নাযিল হয়। 

আরো পড়ুন: জুমার নামাজ মোট কত রাকাত ও কি কি

এই ওহি পাওয়ার পর মুহাম্মদ (সা.) আতঙ্কিত হয়ে ঘরে ফিরে আসেন এবং তার স্ত্রী খদিজা (রাঃ) এর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। খদিজা তাকে সান্ত্বনা দেন এবং পরে তিনি খদিজার আত্মীয় ওয়ারাাকা ইবনে নওফলের কাছে যান, যিনি খ্রিস্টান পন্ডিত ছিলেন। ওয়ারাাকা মুহাম্মদ (সা.) এর অভিজ্ঞতা শুনে বলেন যে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা ওহি এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নবী হয়েছেন।

প্রাথমিক দাওয়াত

মুহাম্মদ (সা.) প্রথমে গোপনে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। প্রথম যারা ইসলাম গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ছিলেন তার স্ত্রী খদিজা (রাঃ), তার পিতৃব্যের পুত্র আলী (রাঃ), ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকর (রাঃ) এবং দাস যায়েদ বিন হারিসা (রাঃ)। তিন বছর ধরে গোপনে ইসলাম প্রচার করার পর আল্লাহর আদেশে তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ইসলাম প্রচার

প্রাথমিক প্রচার

মুহাম্মদ (সা.) যখন প্রথম ওহি প্রাপ্ত হন, তখন তিনি আল্লাহর আদেশে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। প্রথমে তিনি তার নিকট আত্মীয়দের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেন। তার স্ত্রী খদিজা (রাঃ), চাচাতো ভাই আলী (রাঃ), বন্ধু আবু বকর (রাঃ) এবং দাস যায়দ (রাঃ) প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কার মানুষেরা প্রথমে তার বাণী মেনে নিতে চায়নি এবং তাকে ও তার অনুসারীদের উপর অত্যাচার শুরু করে।

ইসলাম প্রচারের মূলনীতি

১. তাওহীদ: আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তার কোন অংশীদার নেই।

২. নবুয়ত: মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর শেষ নবী।

৩. আখিরাত: মৃত্যু পরবর্তী জীবনের বিশ্বাস।

৪. ইবাদত: নামাজ, রোজা, যাকাত, এবং হজ পালন।

৫. নৈতিকতা: সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা, এবং মানবিকতা।

মুহাম্মদ (সা.) এর ইসলাম প্রচার ছিল শান্তিপূর্ণ, ন্যায়বিচারমূলক এবং মানবিকতার উপর ভিত্তি করে। তার প্রচার ও শিক্ষা আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মদিনায় হিজরত

মক্কায় ইসলামের প্রচার শুরু করার পর মুহাম্মদ (সা.) এবং তার অনুসারীরা ক্রমবর্ধমান নির্যাতন ও অত্যাচারের সম্মুখীন হন। কুরাইশরা তার উপর এবং মুসলমানদের উপর অত্যাচার করে। ইসলাম প্রচারের এই কঠিন সময়ে আল্লাহর আদেশে মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরত করার সিদ্ধান্ত নেন।

হিজরতের শুরু

৬২২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ (সা.) তার ঘনিষ্ঠ সাহাবী আবু বকর (রাঃ) কে সঙ্গে নিয়ে মদিনায় হিজরত শুরু করেন। কুরাইশরা তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আল্লাহর সাহায্যে তারা সফলভাবে মদিনায় পৌঁছান। এই যাত্রায় তারা গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং আল্লাহর বিশেষ সাহায্য পেয়েছিলেন।

মদিনায় আগমন

মুহাম্মদ (সা.) এর মদিনায় আগমন মুসলমানদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। মদিনার জনগণ মুহাম্মদ (সা.) এবং তার সাহাবীদের সাদরে গ্রহণ করেন। মুহাম্মদ (সা.) এর আগমনের মাধ্যমে মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ইসলাম প্রচার

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ইসলাম প্রচার কার্যক্রম তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি একটি প্রগতিশীল ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া যা তার নবুয়তের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

গোপন প্রচার

নবুয়তপ্রাপ্তির প্রথম তিন বছর মুহাম্মদ (সা.) গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। প্রথমে তার স্ত্রী খদিজা, ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকর, এবং কাজী আলী ইসলাম গ্রহণ করেন। তারা গোপনে নবীর শিক্ষা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে আরও লোক ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হন।

প্রকাশ্য প্রচার

তিন বছর পর, আল্লাহর আদেশে মুহাম্মদ (সা.) প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তিনি মক্কার জনগণকে এক আল্লাহর ইবাদত করতে আহ্বান জানান এবং মূর্তিপূজা ও কুসংস্কার পরিত্যাগ করতে বলেন। মক্কার প্রধান কুরাইশ নেতারা তার এই প্রচারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং তাকে ও তার অনুসারীদের উপর অত্যাচার শুরু করে।

হিজরত ও মদিনায় ইসলাম প্রচার

৬২২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ (সা.) এবং তার অনুসারীরা মদিনায় হিজরত করেন। মদিনায় তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। মদিনায় তার আগমনের পর তিনি মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন এবং একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তিনি বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে শান্তি স্থাপন এবং একটি ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করেন।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর যুদ্ধ এবং বিজয়

মুহাম্মদ (সা.) ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য অনেক যুদ্ধের সম্মুখীন হন। তার জীবদ্দশায় সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলো ছিল ইসলামের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি সবসময় আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।

বদর যুদ্ধ (৬২৪ খ্রিস্টাব্দ)

বদর যুদ্ধ ইসলামের প্রথম এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ। মদিনায় হিজরতের দুই বছর পর কুরাইশদের সাথে বদরের ময়দানে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুসলিমদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩১৩ জন এবং কুরাইশদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০০ জন। আল্লাহর সাহায্যে এবং সাহাবীদের সাহসিকতায় মুসলিমরা এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। বদর যুদ্ধ মুসলিমদের মনোবলকে চাঙ্গা করে এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসারে সহায়ক হয়।

উহুদ যুদ্ধ (৬২৫ খ্রিস্টাব্দ)

বদর যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে কুরাইশরা মদিনার কাছে উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। উহুদ যুদ্ধে মুসলিমদের প্রথমে সাফল্য আসে, কিন্তু কিছু মুসলিম যোদ্ধার অবাধ্যতার ফলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যায় এবং মুসলিমরা বিপর্যস্ত হয়। এই যুদ্ধে হযরত হামজা (রাঃ) শহীদ হন। উহুদ যুদ্ধ মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল এবং তারা আরও সুসংগঠিত হয়ে ওঠে।

হুদাইবিয়া সন্ধি (৬২৮ খ্রিস্টাব্দ)

মুহাম্মদ (সা.) এবং তার অনুসারীরা মক্কায় ওমরাহ পালন করার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু কুরাইশরা তাদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এরপর হুদাইবিয়া নামক স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সন্ধি চুক্তি হয়, যা হুদাইবিয়া সন্ধি নামে পরিচিত। এই চুক্তির মাধ্যমে দশ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতি স্থাপন হয়। এটি ইসলামের প্রচার ও প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল।

মক্কা বিজয় (৬৩০ খ্রিস্টাব্দ)

কুরাইশরা হুদাইবিয়া সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করলে মুহাম্মদ (সা.) দশ হাজার সাহাবীসহ মক্কা অভিমুখে যাত্রা করেন। মক্কার অধিবাসীরা বিনা প্রতিরোধে আত্মসমর্পণ করে এবং মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে মক্কা বিজয় করে। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ (সা.) সমস্ত প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করে দেন এবং কাবা শরীফকে মূর্তির মুক্ত করেন। এই বিজয় ইসলামের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

হুনাইন যুদ্ধ (৬৩০ খ্রিস্টাব্দ)

মক্কা বিজয়ের পর কিছু উপজাতি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং হুনাইন নামক স্থানে যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথমে মুসলিমরা বিপর্যস্ত হয়, কিন্তু পরবর্তীতে মুহাম্মদ (সা.) এর নেতৃত্বে তারা যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং বিজয় অর্জন করে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শেষ জীবন এবং মৃত্যু

হযরত মুহাম্মদ (সা.) তার জীবনের শেষ বছরগুলো মদিনায় কাটিয়েছেন। তিনি এই সময়ে ইসলামের মূলনীতিগুলো সুসংহত করেন এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে সংগঠিত করার কাজে মনোনিবেশ করেন। তিনি একটি ধর্মীয় ও সামাজিক আদর্শ স্থাপন করেন যা মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরকালীন দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

অসুস্থতা ও মৃত্যু

বিদায় হজের পর মুহাম্মদ (সা.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অসুস্থতা প্রায় ১৩ দিন স্থায়ী হয়। অসুস্থতার সময় তিনি তার স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) এর গৃহে অবস্থান করতেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ৮ জুন, সোমবার, তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৬৩ বছর।

মৃত্যুর পূর্বে মুহাম্মদ (সা.) মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, "তোমরা নামাজের প্রতি যত্নশীল হও এবং তোমাদের অধীনস্থদের প্রতি সদয় হও।" মৃত্যুর পূর্বে তিনি বারবার বলেছিলেন, "উম্মাহ, উম্মাহ" অর্থাৎ তার উম্মাহর কল্যাণের চিন্তা তার মনে ছিল।

দাফন

মুহাম্মদ (সা.) কে মদিনায় মসজিদে নববীর পাশে দাফন করা হয়। তার কবরস্থানটি আজও মুসলিমদের জন্য একটি পবিত্র স্থান।

উত্তরাধিকার

মুহাম্মদ (সা.) এর মৃত্যুর পর, তার শিক্ষা ও আদর্শের ভিত্তিতে খোলাফায়ে রাশেদিন বা চার খলিফার শাসনকাল শুরু হয়। তার সাহাবীরা তার বাণী ও শিক্ষাগুলোকে অনুসরণ করে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে মনোনিবেশ করেন।

মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্ম মানবজাতির জন্য একটি মূল্যবান শিক্ষা। তার চরিত্র, নৈতিকতা, এবং জীবনযাপনের পদ্ধতি মুসলমানদের জন্য এক চিরন্তন আদর্শ। তার জীবন এবং কর্ম আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url