দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কয়েকটি কার্যকর উপায় আছে। প্রথমত, ধীরে ধীরে খাওয়া এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ফাইবারযুক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে, তাজা ফল, সবজি ও হালকা খাবার খাওয়া যেতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত গ্যাস তৈরির কারণ হিসেবে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের অ্যালার্জি থাকতে পারে, তাই সেগুলি পরিহার করা উচিত। আদা চা, পুদিনা পাতা, এবং জিরার মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলি গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পানি পান করাও গ্যাস কমাতে সাহায্য করতে পারে।
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

পেটের গ্যাস হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক কারণেই হতে পারে। পেটের গ্যাস দ্রুত কমানোর জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা কার্যকর হতে পারে। নিচে বিভিন্ন কারণ ও সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:খাদ্যাভ্যাসের ভুলের কারণে অনেক সময় পেটে গ্যাস হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, বেশি মশলাযুক্ত খাবার, এবং কার্বনেটেড পানীয় গ্যাস তৈরির মূল কারণ হতে পারে। এই ধরনের খাবার কমিয়ে ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন শাকসবজি, তাজা ফল, এবং লো-ফ্যাট খাবার খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং গ্যাস উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।

২. ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া:খাওয়ার সময় দ্রুত খাবার খেলে, বেশি বাতাস পাকস্থলীতে প্রবেশ করে যা গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবার ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।

৩. খাদ্য থেকে কিছু উপাদান বাদ দেয়া:অনেক মানুষের ক্ষেত্রে ল্যাকটোজ বা গ্লুটেনের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকতে পারে, যা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য খেলে যদি গ্যাস হয়, তাহলে সেগুলি বাদ দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভাল।

৪. আদা এবং পুদিনা:আদা প্রাকৃতিকভাবে হজমে সহায়ক এবং গ্যাস কমাতে কার্যকর। আদা চা খাওয়া অথবা আদার ছোট টুকরা চিবিয়ে খেলে পেটের অস্বস্তি কমে। পুদিনা পাতা গ্যাস কমানোর জন্য জনপ্রিয়। পুদিনার চা বা কাঁচা পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পুদিনার মধ্যে থাকা মেনথল উপাদান অন্ত্রের পেশিগুলিকে শিথিল করে, যা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।

৫. জিরা এবং মৌরি:জিরার মধ্যে থাকা উপাদান গ্যাসের সমস্যা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে এক চা চামচ জিরা ফুটিয়ে সেই পানি পান করা যেতে পারে। মৌরি গ্যাস কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক। খাবার শেষে কয়েকটি মৌরি চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৬. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার:প্রোবায়োটিক হলো এমন উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। দই, কিমচি, এবং সৌরক্রাউটের মতো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং গ্যাস কমে।

৭. হাইড্রেশন (পানি পান করা):নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করলে গ্যাস কমে।

৮. ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ:হালকা শারীরিক কার্যকলাপ, যেমন হাঁটা বা হালকা যোগব্যায়াম গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। শারীরিক কাজের সময় অন্ত্রের পেশিগুলি সক্রিয় থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এছাড়া, কিছু যোগব্যায়াম, যেমন "পবনমুক্তাসন," বিশেষভাবে গ্যাস কমানোর জন্য কার্যকর।

৯. ওষুধ এবং গ্যাস নিরোধক:যদি ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস কমানো সম্ভব না হয়, তাহলে ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে কিছু ওষুধ পাওয়া যায় যা পেটের গ্যাসের সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম। তবে ওষুধ ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

১০. স্ট্রেস কমানো:স্ট্রেস এবং মানসিক চাপ হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, যা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। নিয়মিত মেডিটেশন বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে এবং হজম প্রক্রিয়া ভালো হয়।

পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ

পেটের গ্যাস কমানোর জন্য বাজারে বেশ কিছু ওষুধ পাওয়া যায় যা দ্রুত কার্যকর হতে পারে। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই ভালো। নিচে কিছু সাধারণ গ্যাস কমানোর ঔষধের নাম এবং তাদের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. স্যিমেথিকন (Simethicone):স্যিমেথিকন একটি খুবই জনপ্রিয় ওষুধ, যা পেটের গ্যাস এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে থাকা গ্যাসের ফেনাকে ছোট ছোট বুদবুদের মধ্যে ভেঙে দেয়, যা সহজে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
ব্র্যান্ড নাম: গ্যাস-এক্স (Gas-X), ইএমএএসিল (Mylanta Gas)

২. অ্যান্টাসিড (Antacids):অ্যান্টাসিড সাধারণত পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড এবং গ্যাস কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি হজমে সহায়তা করে এবং অ্যাসিডিটি কমিয়ে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্র্যান্ড নাম: জেলুসিল (Gelusil), ডিজিন (Digene), অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মিশ্রণ

আরো পড়ুন: পুরুষের জন্য মেথির ব্যবহার

৩. অ্যাসিড ব্লকার (H2 Blockers):অ্যাসিড ব্লকার ওষুধগুলি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্র্যান্ড নাম: রেনিটিডিন (Ranitidine), ফ্যামোটিডিন (Famotidine), নিসাত (Nizatidine)

৪. প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPIs):প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI) ওষুধগুলি পাকস্থলীর অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্যাস কমায়। এটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী অ্যাসিডিটির জন্য ব্যবহার করা হয়।
ব্র্যান্ড নাম: ওমেপ্রাজল (Omeprazole), ল্যান্সোপ্রাজল (Lansoprazole), এসোমেপ্রাজল (Esomeprazole)

৫. অ্যালফা-গ্যালাক্টোসিডেজ (Alpha-Galactosidase):এই এনজাইম শরীরে এমন কিছু খাবার হজমে সহায়তা করে, যা সাধারণত গ্যাস সৃষ্টি করে, যেমন শিম, সবজি, এবং গোটা শস্য।
ব্র্যান্ড নাম: বিনো (Beano)

পেটের গ্যাস কমানোর খাবার

পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কিছু খাবার বেশ উপকারী হতে পারে। এই ধরনের খাবারগুলো হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের গ্যাস উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। নিচে কিছু সাধারণ গ্যাস কমানোর খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. আদা:আদা একটি প্রাকৃতিক হজম সহায়ক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ। এটি হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে এবং পেটের গ্যাস কমাতে সহায়তা করে। আদা চা খাওয়া বা কাঁচা আদা চিবানো গ্যাস কমানোর জন্য ভালো।

২. পুদিনা পাতা:পুদিনা পাতা হজমে সহায়ক এবং অন্ত্রের পেশিকে শিথিল করে, যা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। পুদিনার চা বা পাতা চিবিয়ে খাওয়া পেটের গ্যাসের সমস্যা কমাতে কার্যকর।

৩. দই:দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. জিরা:জিরা গ্যাসের সমস্যা কমাতে প্রাকৃতিকভাবে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম পানিতে কিছু জিরা ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে হজম ভালো হয় এবং গ্যাস কমে।

৬. লেবু পানি:লেবু পানিতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস কমায়। সকালে খালি পেটে লেবুর রস মিশিয়ে কুসুম গরম পানি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।

৭. পেঁপে:পেঁপেতে থাকা প্যাপেইন নামক এনজাইম খাবার হজমে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা কমায়।

৮. কুমড়ো:কুমড়ো হজমশক্তি বাড়াতে এবং গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং গ্যাস কমায়।

. ব্যানানা:কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

পেটের গ্যাস বের করার ব্যায়াম

পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কিছু বিশেষ ব্যায়াম খুবই কার্যকর। এই ব্যায়ামগুলো অন্ত্রের পেশিগুলোকে শিথিল করে এবং গ্যাস বের হতে সহায়তা করে। নিচে কয়েকটি কার্যকর ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

১. পবনমুক্তাসন (Pawanmuktasana):পবনমুক্তাসন বিশেষভাবে পেটের গ্যাস কমানোর জন্য পরিচিত। এটি পেটের পেশিগুলোকে চাপ দেয়, যা গ্যাস বের হতে সাহায্য করে।

কিভাবে করবেন:
  • মেঝেতে পিঠের ওপর শুয়ে পড়ুন।
  • দুই হাঁটু ভাঁজ করে বুকে টেনে নিন।
  • হাত দিয়ে হাঁটুকে ধরে রাখুন এবং মাথা উঁচু করে হাঁটু স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।
  • কয়েক সেকেন্ড ধরে রেখে শ্বাস ছাড়ুন এবং শুয়ে পড়ুন।
  • এই প্রক্রিয়াটি ৫-১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
২. আপানাসন (Apanasana):আপানাসনও পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এই আসন পেটের নীচের অংশে চাপ সৃষ্টি করে, যা গ্যাস বের হতে সহায়ক।

কিভাবে করবেন:
  • মেঝেতে শুয়ে পড়ুন।
  • দুই হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মেঝেতে রাখুন।
  • দুই হাঁটু একসঙ্গে বুকে টেনে আনুন।
  • হাঁটুকে হাত দিয়ে ধরে রেখে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন।
  • শ্বাস ছেড়ে আস্তে আস্তে পা নামিয়ে ফেলুন। ৫-১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
৩. অধোমুখ শ্বানাসন (Adho Mukha Svanasana) বা ডাউনওয়ার্ড ফেসিং ডগ পোজ:এই আসনটি শরীরের মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে গ্যাস বের হতে সহায়তা করে এবং পেটের পেশিগুলোকে শিথিল করে।

কিভাবে করবেন:
  • দুই হাত ও পা দিয়ে মেঝেতে ভর দিয়ে একটা উল্টো ভি আকৃতি তৈরি করুন।
  • মাথা নিচু করে রাখুন এবং পিঠ সোজা রাখুন।
  • এই অবস্থানে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত থাকুন, তারপর আস্তে আস্তে অবস্থান পরিবর্তন করুন।
৪. বালাসন (Balasana) বা শিশুর ভঙ্গি:বালাসন হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস বের হতে সহায়তা করে।

কিভাবে করবেন:
  • হাঁটু মুড়ে বসুন এবং পা পেছনের দিকে ছড়িয়ে দিন।
  • শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকুন এবং মাথা মেঝেতে রাখুন।
  • দুই হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে রাখুন বা পেছনে রাখুন।
  • কয়েক মিনিট এই অবস্থানে থাকুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
৫. মার্জারিয়াসন (Marjaryasana) বা বিড়ালের ভঙ্গি:এই ব্যায়াম পেটের পেশিকে সক্রিয় করে এবং গ্যাস বের করতে সাহায্য করে।

কিভাবে করবেন:
  • দুই হাত এবং হাঁটু মেঝেতে রেখে চার পায়ের ভঙ্গিতে থাকুন।
  • শ্বাস নিতে নিতে পিঠকে বাঁকিয়ে মাথা উপরের দিকে তুলুন।
  • শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠকে নিচের দিকে ধাক্কা দিন এবং মাথা নিচু করুন।
এই প্রক্রিয়াটি কয়েকবার করুন।

উপসংহার: পেটের গ্যাস দ্রুত কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার, এবং কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম খুবই কার্যকর। ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া, আদা, পুদিনা, দইয়ের মতো হজমশক্তি বাড়ানো খাবার খাওয়া, এবং পবনমুক্তাসনের মতো ব্যায়াম করলে গ্যাস দ্রুত কমে যায়। নিয়মিত পানি পান এবং শারীরিক সক্রিয়তা বজায় রাখাও পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। তবে, দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url