শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
শিশুর ডেঙ্গু রোগ হলে সাধারণত উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, শরীরের ব্যথা, বমি, ত্বকে র্যাশ, এবং কিছু ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ দেখা যায়। এই রোগ হলে শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে এবং তাকে প্রচুর পরিমাণে পানি বা তরল দিতে হবে। প্যারাসিটামল জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে
অ্যাসপিরিন বা ইবুপ্রোফেন এড়িয়ে চলতে হবে। গুরুতর অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মশার কামড় থেকে রক্ষা করা এবং বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক।
অ্যাসপিরিন বা ইবুপ্রোফেন এড়িয়ে চলতে হবে। গুরুতর অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মশার কামড় থেকে রক্ষা করা এবং বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক।
ডেঙ্গু কি
ডেঙ্গু হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এডিস মশা, বিশেষত এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশা, ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে। ডেঙ্গু সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে বেশি দেখা যায় এবং এটি পৃথিবীর অনেক দেশে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।
ডেঙ্গু ভাইরাস:
ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি প্রধান ধরনের স্ট্রেইন (সেরোটাইপ) আছে: DEN-1, DEN-2, DEN-3, এবং DEN-4। এই চারটি সেরোটাইপের যেকোনো একটি দিয়ে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হতে পারে। একজন ব্যক্তি জীবনে একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন, কারণ একবার এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, তার বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়, তবে অন্য ধরনের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
ডেঙ্গু হলে কি খাবার খেতে হবে
ডেঙ্গু হলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত সুস্থ হতে সঠিক পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই তাদের এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয় এবং শরীরে শক্তি যোগায়। ডেঙ্গু হলে নিচের খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে:
১. প্রচুর তরল:ডেঙ্গুর কারণে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে, তাই রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে। এতে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ হয় এবং জ্বরের কারণে অতিরিক্ত ঘামের ফলে যে পানি হারায়, তা পুনরায় পূরণ হয়।
- পানি
- ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS)
- নারকেলের পানি
- ফলের রস (বিশেষত পেঁপে, কমলালেবু, এবং মাল্টার রস)
- স্যুপ
২. পুষ্টিকর খাবার:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, যাতে তারা শক্তি পায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- ফলমূল: পেঁপে, পেঁপে পাতা, কমলালেবু, মাল্টা, কলা, আপেল ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- সবজি: শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি, গাজর, টমেটো ইত্যাদি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার ডেঙ্গুর সময় খুব উপকারী।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডাল, ডিম, মাছ, মুরগির মাংস ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে রোগী দ্রুত শক্তি ফিরে পায় এবং শরীরের কোষ পুনর্গঠিত হয়।
৩. সহজপাচ্য খাবার:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অনেক সময় খাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে বা বমি বমি ভাব হয়। তাই সহজপাচ্য এবং হালকা খাবার দেওয়া উচিত।
- খিচুড়ি
- ওটমিল
- সেদ্ধ সবজি
- মুরগির স্যুপ
৪. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:ভিটামিন সি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই কমলালেবু, মাল্টা, আমলকী, পেয়ারা ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিত।
৫. পেঁপে পাতা:অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পেঁপে পাতা রস প্রয়োজনীয় বলা হয়, কারণ এটি রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
৬. অন্যান্য সহজলভ্য খাবার:
- পোচ করা ডিম
- ফলমূল সালাদ
- দই বা মিষ্টি দই
- আলু সেদ্ধ
এড়িয়ে চলার খাবার:
- ভাজা ও তেলযুক্ত খাবার: এ ধরনের খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- মশলাদার খাবার: মশলা শরীরকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে এবং হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- কফি ও কোল্ড ড্রিঙ্কস: ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই এড়িয়ে চলা উচিত।
এই খাবারগুলো খেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীরা দ্রুত সুস্থ হতে পারে এবং তাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
শিশুদের ডেঙ্গু রোগ হলে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দেয় যা দ্রুত চিনতে পারলে এবং সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দ্রুত সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। শিশুরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে তা নিচে বর্ণনা করা হলো:
১. উচ্চ জ্বর:শিশুর ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো হঠাৎ করে উচ্চ জ্বর হওয়া। সাধারণত জ্বর ১০৪°F বা তার বেশি হতে পারে এবং এই জ্বর ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর বেশিরভাগ সময়ে খুব দ্রুত শুরু হয় এবং কিছুদিন স্থায়ী থাকে।
২. তীব্র মাথাব্যথা:ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের কপালে তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেয়। এই মাথাব্যথা শিশুদের অস্বস্তিকর করে তোলে এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
৩. চোখের পিছনে ব্যথা:ডেঙ্গু রোগের আরেকটি বিশেষ লক্ষণ হলো চোখের পিছনে ব্যথা অনুভব করা। শিশুরা এই ব্যথার কারণে চোখ খুলতে অসুবিধা অনুভব করতে পারে।
৪. শরীরের পেশীতে ও হাড়ে ব্যথা:ডেঙ্গুর আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হলো পেশীতে ও হাড়ে ব্যথা। এটি বিশেষত পিঠে, হাত-পায়ে এবং কোমরে অনুভূত হতে পারে। শিশুরা এই ব্যথার কারণে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং সাধারণ কার্যকলাপ পরিচালনা করতে অসুবিধা অনুভব করতে পারে।
৫. বমি বমি ভাব ও বমি:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে তারা খাবার গ্রহণ করতে অসুবিধা অনুভব করে এবং খাওয়ার পর বমি হয়ে যেতে পারে।
৬. ত্বকে র্যাশ:ডেঙ্গুর অন্যতম লক্ষণ হলো ত্বকে লালচে দাগ বা র্যাশের উপস্থিতি। এই র্যাশ সাধারণত জ্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে দেখা দিতে পারে এবং শিশুর ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি হতে পারে।
৭. পেটব্যথা ও ডায়রিয়া:কিছু শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে পেটব্যথা এবং পাতলা পায়খানা হতে পারে। এই লক্ষণগুলো শিশুর স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়ার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের দুর্বল করে তুলতে পারে।
৮. রক্তক্ষরণ:গুরুতর ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে শিশুদের নাক, মাড়ি বা অন্যান্য স্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। এটি ডেঙ্গুর হেমোরেজিক ফেজের অংশ হতে পারে এবং এটি একটি গুরুতর লক্ষণ।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুর এইসব লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং দ্রুত সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
শিশুদের ডেঙ্গু রোগ হলে সঠিকভাবে প্রতিকার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই, তাই চিকিৎসা মূলত লক্ষণভিত্তিক। শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার এবং যত্নের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম:ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাদের শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে বিশ্রাম প্রয়োজন, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
প্রচুর তরল গ্রহণ:শিশুর শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করতে তাকে প্রচুর পরিমাণে তরল, যেমন পানি, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS), ফলের রস, এবং স্যুপ ইত্যাদি দিতে হবে। এটি শিশুর শরীরে তরলের ঘাটতি পূরণ করে এবং ডেঙ্গুর কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে।
জ্বর নিয়ন্ত্রণ:শিশুর জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজ অনুসরণ করতে হবে। শিশুদের অ্যাসপিরিন বা ইবুপ্রোফেন দেওয়া যাবে না, কারণ এই ওষুধগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
সঠিক পুষ্টি:ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর খাদ্য, যেমন ফলমূল, শাকসবজি, স্যুপ, এবং স্যালাইন জাতীয় খাবার দিতে হবে যাতে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তবে শক্ত খাবারের চেয়ে তরলজাতীয় খাবার বেশি উপকারী।
চিকিৎসকের পরামর্শ:যদি শিশুর ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো গুরুতর হয় বা অবস্থার অবনতি দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষত, শিশুর শরীরে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট, তীব্র পেটব্যথা বা অত্যধিক দুর্বলতা দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে।
মশা প্রতিরোধ:ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য শিশুদের মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে হবে। মশারি ব্যবহার, মশা তাড়ানোর স্প্রে বা ক্রিম ব্যবহার, এবং ঘরের আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে মশার বংশবিস্তার রোধ করতে হবে।
সঠিক সময়ে শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার গ্রহণ করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মশার কামড় থেকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে, যা মূলত দিনের বেলা কামড়ায়। শিশুর ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. মশার কামড় থেকে রক্ষা:
- মশারি ব্যবহার: ঘুমানোর সময় শিশুদের মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করুন, বিশেষত দিনের বেলায়।
- মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রে: শিশুদের শরীরে মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে বয়স অনুযায়ী উপযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।
- মশা প্রতিরোধী পোশাক: শিশুদের দীর্ঘ হাতা ও পায়ের পোশাক পরানো, যাতে মশা কামড়াতে না পারে।
২. পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা:
পানি জমে থাকা প্রতিরোধ: বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে, কারণ এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, বাতিল টায়ার, বালতি বা যেকোনো স্থানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা: নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার, যাতে সেখানে মশার বংশবিস্তার না হয়।
৩. ঘরের ভিতরে সুরক্ষা:
জালযুক্ত জানালা ও দরজা: ঘরের জানালা ও দরজায় মশারোধক জাল লাগানো উচিত, যাতে মশা ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।
ইনডোর মশারোধক ব্যবস্থা: ঘরের ভিতরে ইলেকট্রনিক মশা তাড়ানোর ডিভাইস, কয়েল, অথবা লিকুইড মশারোধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. স্বাস্থ্য সচেতনতা:
সচেতনতা বৃদ্ধি: শিশু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডেঙ্গুর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন, যাতে তারা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানে এবং সঠিকভাবে তা অনুসরণ করে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মানা: স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী মশা নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা উচিত।
৫. ভ্রমণের সময় সুরক্ষা:
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্কতা: যদি ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকায় ভ্রমণ করতে হয়, তবে মশারোধক ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি ভাবে মানতে হবে।
এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শিশুরা ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে অনেকাংশে সুরক্ষিত থাকতে পারে।
উপসংহার:শিশুর ডেঙ্গু রোগ দ্রুত সনাক্ত করা এবং সঠিকভাবে প্রতিকার করা অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, এবং ত্বকে র্যাশসহ অন্যান্য লক্ষণগুলো ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ। এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং শিশুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল খাবার, এবং পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে। মশার কামড় থেকে শিশুকে রক্ষা করার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url