খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়-সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করতে প্রথমেই এর কারণ খুঁজে বের করা জরুরি। সাধারণত ঠান্ডা, অ্যালার্জি, ধুলাবালি, দূষণ, বা সাইনাস ইনফেকশন থেকে এমন কাশি দেখা দিতে পারে। সহজ কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এই কাশি থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রথমেই, কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে, যা গলাকে শীতল রাখতে সাহায্য করবে। মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে গলা নরম থাকে এবং কাশির প্রবণতা কমে। এছাড়া, লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যেতে পারে। মধু মেশানো চা কিংবা আদা চাও কাশির ক্ষেত্রে উপকারী।
বাষ্প গ্রহণ বা স্টিম থেরাপি নাক ও গলার রাস্তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং কাশির উপশম করে। গলা পরিষ্কার রাখতে গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করাও একটি কার্যকর পদ্ধতি; এতে জীবাণু দূর হয় এবং গলা আরাম পায়।
কিছু ক্ষেত্রে বাজারে পাওয়া কাশির সিরাপ বা এন্টি-হিস্টামিনের ব্যবহার সহায়ক হতে পারে। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে কাশি কমানোর চেষ্টা করাই ভালো, কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং উপশম না হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শুকনো কাশি কিসের লক্ষণ
শুকনো কাশি এক ধরণের কাশি, যা সাধারণত শ্লেষ্মা বা কফ ছাড়া হয় এবং প্রায়ই বিরক্তিকর ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে এবং এটি বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। নিচে শুকনো কাশির কারণ ও লক্ষণসমূহ আলোচনা করা হলো।
১. ঠান্ডা এবং ফ্লু:ঠান্ডা বা ফ্লুর প্রাথমিক পর্যায়ে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। এই সময় গলা শুষ্ক হয়, যা পরে সর্দি বা কফে পরিণত হতে পারে। অনেক সময় ঠান্ডা সেরে যাওয়ার পরও শুকনো কাশি থেকে যায়।
আরো পড়ুন: পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা-পালং শাক খাওয়ার নিয়ম
২. অ্যালার্জি:ধুলাবালি, পরাগ বা পোষা প্রাণীর লোমের মতো অ্যালার্জেনের কারণে শুকনো কাশি হতে পারে। এ ধরনের কাশি সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বাড়ে। অ্যালার্জির কারণে গলা চুলকায় ও শুষ্কতা অনুভূত হয়, যা কাশির কারণ হতে পারে।
৩. অ্যাজমা বা হাঁপানি:অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শুকনো কাশি হতে পারে। অ্যাজমার কারণে শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে যায়, যার ফলে রাতে বা শীতল পরিবেশে এ ধরনের কাশি বৃদ্ধি পায়।
৪. গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD):পাকস্থলীর অ্যাসিড গলায় উঠে এলে গলা উত্তেজিত হয়, যা শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। GERD আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিশেষত রাতে বা শোয়ার সময় কাশির সমস্যায় পড়তে পারেন।
৫. ধূমপান:ধূমপান থেকে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হতে পারে, যা “স্মোকার্স কফ” নামে পরিচিত। ধূমপান শ্বাসনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কাশির প্রবণতা বাড়ায়।
৬. পরিবেশগত দূষণ:বায়ু দূষণ, ধুলা বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ গলা শুষ্ক করতে পারে, যা শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। শিল্প এলাকায় কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে এ ধরনের কাশি বেশি দেখা যায়।
৭. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:কিছু উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ যেমন ACE ইনহিবিটর, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। ওষুধ বন্ধ করলে এই কাশি সেরে যায়।
৮. ভাইরাল ইনফেকশন:ভাইরাল ইনফেকশনের পর শুকনো কাশি থেকে যেতে পারে, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৯. সাইনাসাইটিস:সাইনাস সংক্রমণের ফলে সর্দি বা মিউকাস শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে গলা শুষ্ক করে এবং শুকনো কাশির সৃষ্টি করে।
১০. ফুসফুসের সংক্রমণ বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD):ফুসফুসের জটিল রোগ যেমন ক্রনিক ব্রংকাইটিস বা এমফাইসিমা দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশির কারণ হতে পারে, যা দিনে এবং রাতে একইভাবে থাকে।
১১. টিউমার বা লাং ক্যান্সার:কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি ফুসফুসের টিউমার বা লাং ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। যদি কাশি কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শুকনো কাশি কমানোর উপায়
শুকনো কাশি কমাতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন সহায়ক হতে পারে:
- গরম পানি পান: কুসুম গরম পানি গলা শীতল রাখতে সাহায্য করে।
- মধু ও আদা: মধু ও আদা মিশিয়ে খেলে গলা আরাম পায় এবং কাশির প্রবণতা কমে।
- স্টিম থেরাপি: স্টিম গ্রহণে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।
- গার্গল: গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলার শুষ্কতা কমে।
- অ্যালার্জেন এড়ানো: ধুলাবালি বা পরাগ ফুল এড়ানো।
যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপশম না হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
ঠান্ডা, ধুলাবালি, দূষণ, বা অ্যালার্জির কারণে খুসখুসে কাশি খুবই বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। এই ধরনের কাশি উপশমে কিছু সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়।
১. গরম পানি পান:গলা আর্দ্র ও শীতল রাখতে এবং শ্লেষ্মা ঢিলে করতে কুসুম গরম পানি বেশ কার্যকর। দিনে কয়েকবার গরম পানি পান করলে কাশির প্রবণতা কমে।
বিস্তারিত দেখুন: ভিডিও
২. মধু ও আদার ব্যবহার:মধু এবং আদা প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে খুসখুসে কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধু একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, যা গলা শান্ত রাখে। আদা থেঁতো করে এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।
৩. লেবুর রস ও মধু:একটি লেবুর রস এবং দুই চা-চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গলা আরাম পায় এবং কাশি কমে। লেবুর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪. আদা চা বা তুলসি চা:আদা বা তুলসি চা কাশির জন্য উপকারী। চা তৈরির সময় আদা বা তুলসি পাতা ফুটিয়ে নিলে এটি গলায় আরাম দেয় এবং শ্লেষ্মা কমায়।
৫. স্টিম থেরাপি:স্টিম থেরাপি শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। গরম পানির স্টিম নিলে শ্লেষ্মা ঢিলে হয় এবং কাশি কমে। তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে বাষ্প নিলে কার্যকারিতা বাড়ে।
৬. গার্গল:গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা পরিষ্কার হয় এবং জীবাণু দূর হয়। দিনে দুই থেকে তিনবার গার্গল করলে কাশি কমে।
৭. মুলেথি বা লিকারিশ রুট:মুলেথি বা লিকারিশ একটি প্রাকৃতিক ভেষজ যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে গলা স্বস্তি দেয়। এটি চুষে খেলে বা চা হিসেবে পান করলে কাশি উপশম হয়।
৮. আদা বা পুদিনা লজেন্স:আদা বা পুদিনা লজেন্স গলা শান্ত রাখতে এবং কাশির প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। এগুলো গলা শীতল রাখে এবং সাময়িক স্বস্তি দেয়।
৯. ওষুধ:যদি ঘরোয়া উপায়ে কাশি কমে না আসে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে কাশির সিরাপ বা এন্টি-হিস্টামিন ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকলে আগে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১০. জীবনযাত্রার পরিবর্তন:কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেও কাশি কমানো যায়, যেমন দূষণ এড়ানো, প্রচুর পানি পান, তাজা ফলমূল খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া, এবং নিয়মিত হাত ধোয়া।
যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপশম না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
সর্দি-কাশি হলে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে ঘরোয়া পদ্ধতি এবং কিছু ওষুধে উপশম পাওয়া যায়। সর্দি-কাশির চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ উপসর্গ উপশমে কার্যকর হলেও, ওষুধ গ্রহণের আগে সঠিক প্রয়োজন এবং লক্ষণ বুঝে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিচে সর্দি-কাশির জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ এবং কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. অ্যান্টিহিস্টামিন:অ্যালার্জি বা ধুলাবালি থেকে সৃষ্ট সর্দি-কাশিতে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ কার্যকর। অ্যালার্জি থেকে সৃষ্ট হাঁচি, সর্দি ও চোখে পানি ঝরার লক্ষণ কমাতে এটি সাহায্য করে। লোরাটাডিন, সিট্রিজিন, ফেক্সোফেনাডিন ইত্যাদি সাধারণত ব্যবহৃত হয়। এগুলো ঘুমের প্রবণতা কমায়, তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. ডিকনজেস্টেন্ট:নাক বন্ধ বা গলার শ্লেষ্মা দূর করতে ডিকনজেস্টেন্ট ওষুধ কার্যকর। এটি নাকের শ্লেষ্মা কমিয়ে শ্বাস নিতে সহায়তা করে। সাধারণত সিউডোএফেড্রিন বা ফেনাইলেফ্রিন ব্যবহৃত হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ ডিকনজেস্টেন্ট ব্যবহারে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
৩. কাশির সিরাপ:কাশির ধরণ অনুযায়ী কাশির সিরাপ বেছে নেওয়া উচিত। শুকনো কাশি বা গলা খুসখুসে হলে ডেক্সট্রোমেথরফ্যান জাতীয় সিরাপ উপকারী হতে পারে। কাশি কফ সহ হলে গাইলফেনেসিন বা অ্যামব্রক্সল জাতীয় এক্সপেক্টোরেন্ট সিরাপ কফ বের করতে সহায়ক। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে সিরাপ দেওয়া উচিত।
৪. ব্যথা উপশমকারী:সর্দি-কাশির সাথে জ্বর বা শরীর ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন নেওয়া যেতে পারে। এগুলো জ্বর ও ব্যথা উপশমে সহায়ক। তবে দীর্ঘ সময় ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত এবং সঠিক ডোজে গ্রহণ করতে হবে।
৫. অ্যান্টিবায়োটিক:সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই, কারণ এটি সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে কার্যকর, তবে ভাইরাসে নয়। সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন (যেমন, সাইনাসাইটিস বা ব্রংকাইটিস) থাকলে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক পরামর্শ দিতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতি
সর্দি-কাশি কমাতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবং পুষ্টিকর খাবার উপকারী হতে পারে:
- স্টিম থেরাপি: গরম পানির স্টিম শ্বাসনালীর শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- মধু ও আদা: মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে গলা আরাম পায় এবং কাশি কমে।
- লেবু ও মধুর মিশ্রণ: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে গলা শান্ত হয়।
- গরম স্যুপ ও তরল গ্রহণ: গরম স্যুপ বা তরল খাবার গলা শীতল রাখতে ও শ্লেষ্মা ঢিলে করতে সাহায্য করে।
- গার্গল: লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা জীবাণুমুক্ত হয় এবং শুষ্কতা দূর হয়।
সতর্কতা
সর্দি-কাশির জন্য ওষুধ বেছে নেওয়ার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
- শিশু, বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে কোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অ্যালার্জি হলে তা বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- সর্দি-কাশির উপসর্গ কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা কার্যকর। তবে যদি কাশি বা সর্দি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর মনে হয়, দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
উপসংহার: খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি উপশমে প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন গরম পানি, মধু ও আদা, স্টিম থেরাপি এবং লবণ পানি দিয়ে গার্গল বেশ কার্যকর। কাশির কারণ বুঝে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া, ধুলাবালি বা দূষণ এড়ানো, পর্যাপ্ত পানি পান এবং বিশ্রাম কাশি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url