প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ -প্রসাবে ইনফেকশন হলে করনীয়

প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ -প্রসাবে ইনফেকশন হলে করনীয়

প্রসাবের রঙ সাধারণত হালকা থেকে গাঢ় হলুদ হতে পারে, এবং এর রঙ বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়। প্রসাব হলুদ হওয়ার প্রধান কারণ হলো ইউরোক্রোম নামক পদার্থ, যা শরীরের মেটাবলিক প্রক্রিয়ার এক উপজাত এবং রক্তের হিমোগ্লোবিন ভাঙার ফলে সৃষ্টি হয়। ইউরোক্রোম যত ঘন হয়, প্রসাব তত গাঢ় হলুদ দেখায়।

শরীরে পানির পরিমাণও প্রসাবের রঙে প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত পানি খেলে প্রসাব হালকা রঙের হয়, কারণ এতে প্রসাব পাতলা থাকে। অন্যদিকে, পানি কম খাওয়া হলে প্রসাব গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। কিছু নির্দিষ্ট খাবার, যেমন গাজর ও বিট, অথবা সাপ্লিমেন্ট, বিশেষত ভিটামিন বি ও সি, প্রসাবের রঙ বদলাতে পারে।
প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ

কখনও কখনও প্রসাবের রঙ পরিবর্তন শরীরের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। যেমন, গাঢ় হলুদ থেকে কমলা বা বাদামি রঙের প্রসাব লিভার বা গলব্লাডারের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে প্রসাবের রঙ গাঢ় বা অস্বাভাবিক থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রসাবে ইনফেকশন হলে করনীয়

প্রসাবে ইনফেকশন (মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, UTI) হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণত এই সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘটে এবং মূত্রনালীর বিভিন্ন অংশ, যেমন কিডনি, মূত্রাশয় বা ইউরেথ্রা আক্রান্ত হয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই এই সংক্রমণ হতে পারে, তবে নারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি আক্রান্ত হন।

প্রসাবে ইনফেকশনের লক্ষণগুলো:

  • প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা
  • ঘন ঘন প্রসাবের বেগ হওয়া, কিন্তু অল্প পরিমাণে প্রসাব হওয়া
  • প্রসাবে দুর্গন্ধ বা ঘোলাটে রঙ
  • পেটের নিচের অংশ বা পিঠে ব্যথা
  • মাঝে মাঝে জ্বর, কাঁপুনি বা ক্লান্তি
  • প্রসাবে রক্ত দেখা
করণীয় পদক্ষেপসমূহ:

১. পর্যাপ্ত পানি পান করা:প্রসাবে ইনফেকশনের সময় বেশি পানি পান করা দরকার। এটি প্রসাবের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত না খেয়ে সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করাই ভালো।

২. চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া:যদি লক্ষণগুলো কয়েক দিনের মধ্যে না সারে, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। চিকিৎসক প্রসাব পরীক্ষা করে সংক্রমণ নিশ্চিত করলে ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন। অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শুরু করলে তা সম্পূর্ণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যদিও লক্ষণ আগেই কমে যেতে পারে।

৩. ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া:ইনফেকশনের কারণে প্রস্রাবের সময় বা পরেও ব্যথা হতে পারে। গরম পানির প্যাক ব্যবহার করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধও নেওয়া যেতে পারে।

৪. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:কিছু খাবার মূত্রনালীর সংক্রমণ বাড়াতে পারে, যেমন ক্যাফেইন, মসলাদার খাবার, অ্যালকোহল ও চিনি। ইনফেকশন থাকলে এসব এড়িয়ে হালকা খাবার, ফল ও শাকসবজি খাওয়া ভালো।

৫. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। প্রতিবার প্রস্রাবের পর নিজেকে পরিষ্কার রাখা, বিশেষ করে সামনে থেকে পেছনে মুছে ফেলা এবং সঠিকভাবে ধোয়া জরুরি। নারীদের জন্য সুতির অন্তর্বাস পরা এবং প্রতিদিন পরিবর্তন করা উচিত।

৬. প্রোবায়োটিক গ্রহণ:প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার, যেমন দই খেলে মূত্রনালীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এগুলো শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

মূত্রনালীর সংক্রমণ এড়ানোর টিপস:
  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
  • নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা।
  • যৌন মিলনের পর প্রস্রাব করা, যাতে ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়।
  • প্রস্রাবের বেগ চেপে না রাখা।
প্রসাবে ইনফেকশন দ্রুত চিকিৎসা করলে বড় ধরনের জটিলতা এড়ানো সম্ভব। তবে দীর্ঘ সময় এ ধরনের সমস্যা অবহেলা করলে কিডনি সংক্রমণ বা অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।

প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ

প্রসাবের রঙ সাধারণত হালকা থেকে গাঢ় হলুদ পর্যন্ত হতে পারে, যা শারীরিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরে পানির পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। মূলত ইউরোক্রোম নামক একটি পদার্থের কারণে প্রসাবের রঙ হলুদ হয়। শরীরের মেটাবলিজমের প্রক্রিয়ায় হিমোগ্লোবিন ভেঙে ইউরোক্রোম উৎপন্ন হয়, যা প্রস্রাবের রঙ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।

প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ:

ইউরোক্রোম: এটি শরীরের একটি স্বাভাবিক উপজাত, যা রক্তের হিমোগ্লোবিন ভেঙে তৈরি হয়। ইউরোক্রোমের ঘনত্ব বেশি হলে প্রসাবের রঙ গাঢ় হয়, আর কম হলে রঙ হালকা থাকে।

পানির পরিমাণ: শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে প্রসাব হালকা হয় কারণ ইউরোক্রোমের ঘনত্ব কম থাকে। পানি কম খেলে প্রসাব গাঢ় হলুদ হয়ে যায়, কারণ ইউরোক্রোম বেশি ঘন হয়ে পড়ে।
প্রসাবের বিভিন্ন রঙ ও সম্ভাব্য কারণ:

স্বাভাবিক হালকা হলুদ: পর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে প্রসাব হালকা হলুদ হয়, যা সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ।

গাঢ় হলুদ: শরীরে পানির ঘাটতি হলে বা ডিহাইড্রেশনে প্রসাব গাঢ় হলুদ হয়।

কমলা বা বাদামি: লিভার বা গলব্লাডারের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের কারণে এই রঙ হতে পারে।

গোলাপি বা লালচে: প্রসাবে রক্ত থাকলে প্রসাবের রঙ গোলাপি বা লালচে হতে পারে, যা সংক্রমণ, কিডনির পাথর বা আঘাতের কারণে হতে পারে।

প্রসাবের রঙ পরিবর্তনের অন্যান্য কারণ:

খাদ্যাভ্যাস: কিছু খাবার, যেমন বিট, গাজর, বেরি বা কুমড়া খেলে প্রসাবের রঙ সাময়িকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।

ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট: ভিটামিন বি ও সি সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট প্রসাবের রঙ গাঢ় হলুদ বা কমলা করতে পারে।

ওষুধ: কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, রক্ত জমাট বাঁধার ওষুধ ও কিছু ব্যথানাশক প্রসাবের রঙ বদলে দিতে পারে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
  • দীর্ঘদিন ধরে প্রসাব গাঢ় বা অস্বাভাবিক রঙের হলে।
  • প্রসাবে রক্ত দেখা গেলে।
  • প্রসাবে দুর্গন্ধ বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হলে।
  • ঘন ঘন প্রসাবের বেগ থাকলে, কিন্তু কম পরিমাণ প্রসাব হলে।
প্রসাবের রঙ পরিবর্তন শরীরের পানির পরিমাণ, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক অবস্থার ইঙ্গিত দেয়। যদি দীর্ঘদিন ধরে প্রসাবের রঙ অস্বাভাবিক থাকে বা অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

প্রসাব হলুদ হওয়ার প্রতিকার

প্রসাবের রঙ সাধারণত হলুদ হওয়া স্বাভাবিক। তবে যদি তা খুব গাঢ় বা অস্বাভাবিক রঙ ধারণ করে, তবে এটি শরীরে পানির ঘাটতি বা শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। প্রসাবের রঙ হালকা রাখতে এবং শরীরে পর্যাপ্ত পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
প্রসাবের হলুদ রঙ কমানোর উপায়

পর্যাপ্ত পানি পান করা:প্রসাবের রঙ হালকা রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শরীরের পানির অভাব কমলে ইউরোক্রোম পাতলা হয়ে প্রসাবের রঙ হালকা হয়। শারীরিক কাজকর্ম বেশি করলে বা গরমের সময় অতিরিক্ত পানি পান করা প্রয়োজন।

জলীয় খাবার গ্রহণ করা:শসা, তরমুজ, কমলালেবুর মতো জলীয় ফল ও সবজি খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, যা প্রসাবের রঙ হালকা করতে সহায়ক। এসব খাবার শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ায় এবং প্রস্রাব পরিষ্কার রাখে।

ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা:বিশেষ করে ভিটামিন বি ও সি সাপ্লিমেন্ট বেশি গ্রহণ করলে প্রসাবের রঙ গাঢ় হলুদ হতে পারে। সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ক্যাফেইন ও সোডিয়াম কমানো:অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও লবণ শরীর থেকে পানি কমিয়ে দেয়, যা প্রসাব গাঢ় করতে পারে। বেশি চা-কফি বা নোনতা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত এবং বেশি পানি পান করা প্রয়োজন।

অ্যালকোহল ও মসলাযুক্ত খাবার এড়ানো:অ্যালকোহল ও মসলাযুক্ত খাবার শরীরকে ডিহাইড্রেট করে, যা প্রসাবের রঙ গাঢ় করে। এগুলো নিয়মিত কম পরিমাণে খেলে প্রসাবের রঙ স্বাভাবিক থাকে।

প্রোবায়োটিক গ্রহণ করা:দই বা কিমচির মতো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার মূত্রনালীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং প্রসাবের রঙ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়।

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা:নিয়মিত শারীরিক কাজকর্ম, যেমন ব্যায়াম, শরীরের পানি সংরক্ষণে সহায়ক। অতিরিক্ত ঘাম হলে বেশি পানি পান করতে হয়, যা প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত
  • দীর্ঘদিন ধরে প্রসাব গাঢ় থাকলে এবং পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার পরেও রঙ না কমলে।
  • প্রসাবে অস্বাভাবিক গন্ধ, রক্ত বা জ্বালাপোড়া থাকলে।
  • লিভার বা কিডনির সমস্যা মনে হলে, যেমন পেটে ব্যথা বা বমি বমি ভাব।
প্রসাবের রঙ স্বাভাবিক রাখা সহজ কিছু পদক্ষেপে সম্ভব। পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে প্রসাবের রঙ হালকা ও স্বাভাবিক রাখা যায়।

প্রস্রাব হলুদ হলে কি খাওয়া উচিত

প্রস্রাব হলুদ হলে এটি সাধারণত শরীরে পানির অভাবের সংকেত দেয়। এ সময় শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে এবং প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক রাখার জন্য কিছু খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে। এখানে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা সহায়ক হতে পারে:

১. পর্যাপ্ত পানি পান:শরীরে পানির অভাব পূরণে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা সবচেয়ে জরুরি। পানি শরীরের টক্সিন দূর করে এবং প্রস্রাবকে পাতলা রাখতে সাহায্য করে।

২. জলীয় ফলমূল:
  • তরমুজ: এতে প্রচুর পানি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়ক।
  • শসা: উচ্চ পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকার কারণে এটি প্রস্রাব পরিষ্কার রাখে।
  • কমলালেবু ও সাইট্রাস ফল: এ ধরনের ফলে প্রচুর পানি ও ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরকে সতেজ এবং হাইড্রেটেড রাখতে কার্যকর।
৩. স্যুপ ও ঝোল জাতীয় খাবার
  • সবজি বা মুরগির স্যুপ: স্যুপে বেশি পানি থাকে, যা শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে।
  • ডাবের পানি: প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি শরীরকে দ্রুত হাইড্রেট করতে সহায়ক।
৪. জলীয় শাকসবজি
  • লাউ, পেঁপে, ঢেঁড়স: এই সবজিগুলিতে জলীয় উপাদান বেশি, যা শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
৫. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার
  • দই: এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা মূত্রনালীর সংক্রমণ রোধে সহায়ক এবং প্রস্রাবের রঙ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
  • লেবু, আমলকী, বেরি: এসব ফলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং টক্সিন দূর করতে সহায়ক।
৭. কম লবণযুক্ত খাবার
  • কাঁচা সবজি বা সালাদ: অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানির অভাব তৈরি করতে পারে, তাই লবণ কমিয়ে কাঁচা সবজি ও সালাদ খাওয়া উচিত।
৮. ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়ানো
  • ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ও অ্যালকোহল শরীরে ডিহাইড্রেশন বাড়ায়, তাই এই সময় এসব পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।
  • এসব খাবার ও পানীয় শরীরে পর্যাপ্ত হাইড্রেশন বজায় রাখতে এবং প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।
উপসংহার: প্রসাবের হলুদ রঙ সাধারণত ইউরোক্রোম নামে একটি পদার্থের উপস্থিতির কারণে হয়, যা শরীরের মেটাবলিজমের সময় হিমোগ্লোবিন ভেঙে তৈরি হয়। প্রসাবের রঙ শরীরে পানির পরিমাণ, খাদ্যাভ্যাস এবং বিভিন্ন শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকে, তখন প্রসাবের রঙ হালকা হলুদ হয়, আর পানি কম হলে রঙ গাঢ় হয়ে যায়।

কিছু পুষ্টি, বিশেষ করে ভিটামিন এবং নির্দিষ্ট খাদ্য, যেমন বিট বা গাজর, প্রসাবের রঙকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, যদি প্রসাবের রঙ অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তিত হয় বা অন্য কোনো সমস্যা যেমন জ্বালাপোড়া বা রক্ত দেখা দেয়, তাহলে এটি শারীরিক সমস্যার চিহ্ন হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করে প্রসাবের রঙ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url