শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না-দুধ খাওয়ার উপকারিতা
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
বুকের দুধ নবজাতকের জন্য একটি প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাদ্য, যা মায়ের স্তন থেকে সরবরাহ করা হয়। এটি শিশুদের প্রাথমিক এবং পূর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজসহ সব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। বুকের দুধ শিশুর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, সংক্রমণ ও রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বুকের দুধের ভূমিকা অপরিসীম। এটি মা ও শিশুর মধ্যে গভীর মানসিক সংযোগ তৈরি করে। বুকের দুধ সহজেই হজমযোগ্য এবং নবজাতকের চাহিদা অনুযায়ী উপযোগী। স্তন্যপান মায়ের স্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যেমন গর্ভকালীন ওজন কমানো এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করে যে নবজাতকের জন্য প্রথম ছয় মাস বুকের দুধই একমাত্র খাদ্য হওয়া উচিত এবং এটি দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে চালিয়ে যাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
দুধ খাওয়ার উপকারিতা
দুধ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, কারণ এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজের সহজলভ্য উৎস। নিচে দুধ খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো:
১. হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য:দুধ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ, যা হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়, শিশুদের হাড়ের বিকাশে সহায়ক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
২. পেশি গঠন:উচ্চ মানের প্রোটিন সমৃদ্ধ দুধ পেশির বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড পেশির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং শক্তি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে এটি শরীরচর্চা করা ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত।
আরো পড়ুন: তারাবির নামাজ সুন্নত নাকি নফল-তারাবির নামাজের নিয়ম
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ:দুধে থাকা প্রোটিন দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে, যা অনিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণ কমায়। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:ভিটামিন এ, জিঙ্ক ও সেলেনিয়ামের মতো উপাদান সমৃদ্ধ দুধ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এটি শরীরকে সংক্রমণ ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা দেয়।
৫. ত্বকের যত্ন:দুধে থাকা ভিটামিন বি২, বি১২ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক এবং ত্বক পরিচর্যায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৬. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস:পটাসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক।
৭. হজমশক্তি উন্নত করা:দুধে প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি অ্যাসিডিটি ও বুকজ্বালার মতো সমস্যাও দূর করতে পারে।
৮. শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ:শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধ অপরিহার্য। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং শক্তিশালী হাড় ও পেশি গঠনে সহায়তা করে।
৯. ঘুমের উন্নতি:দুধে থাকা ট্রিপ্টোফ্যান ও মেলাটোনিন মানসিক চাপ কমিয়ে গভীর ঘুমে সহায়ক। রাতে এক গ্লাস দুধ পান করলে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত হয়।
১০. শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা
প্রায় ৮৫-৯০% জলযুক্ত দুধ শরীরের পানির অভাব পূরণ করে এবং দেহকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
১১. শক্তি সরবরাহ:দুধে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন দ্রুত শক্তি প্রদান করে, যা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। এটি বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রমের পরে শক্তি পুনরুদ্ধারে কার্যকর।
সতর্কতা:
যদিও দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর, কিছু মানুষ ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হতে পারেন, যা হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ বা এর বিকল্প পণ্য গ্রহণ করা উচিত।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের খাদ্যাভ্যাস সরাসরি শিশুর স্বাস্থ্য ও বিকাশে প্রভাব ফেলে। কারণ, মায়ের গ্রহণ করা খাদ্যের উপাদান স্তনের দুধের মাধ্যমে শিশুর দেহে পৌঁছায়। কিছু খাবার এ সময় মায়েদের এড়িয়ে চলা উচিত। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
- অতিরিক্ত চা, কফি বা সফট ড্রিংকস খাওয়া এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। ক্যাফেইন দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে এবং ঘুমের সমস্যা, উত্তেজনা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- দিনে এক বা দুই কাপ সীমিত পরিমাণে গ্রহণ নিরাপদ।
২. অ্যালকোহল
- অ্যালকোহল শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
- বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অ্যালকোহল সম্পূর্ণ পরিহার করা উচিত।
৩. মশলাদার ও ঝাল খাবার
- অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাদার খাবার শিশুর জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। এটি দুধের স্বাদ পরিবর্তন করে এবং শিশুর পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- মশলাদার খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৪. ফ্যাটি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
- ফাস্ট ফুড, চিপস, প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবার দুধের পুষ্টিমান হ্রাস করতে পারে এবং শিশুর হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়া প্রয়োজন।
৫. গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার
- মসুর ডাল, বাঁধাকপি, ব্রকোলি, ফুলকপি এবং মটরশুঁটি গ্যাস সৃষ্টির জন্য পরিচিত।
- এসব খাবার সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত, কারণ এগুলো শিশুর পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত-কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান
৬. অ্যালার্জিজনিত খাবার
- মাছ, চিংড়ি, বাদাম, ডিম বা দুগ্ধজাত খাবার থেকে শিশুর অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
- নতুন খাবার গ্রহণের পর শিশুর শারীরিক প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে মেনু ঠিক করা উচিত।
৭. অতিরিক্ত চিনি ও লবণযুক্ত খাবার
- বেশি চিনি ও লবণ খাওয়া শিশুর কিডনি ও হজম ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
- প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত।
৮. প্রক্রিয়াজাত মাংস ও সংরক্ষিত খাবার
- সালামি, সসেজ বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলিতে থাকা রাসায়নিক সংরক্ষণকারী শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৯. সামুদ্রিক উচ্চ পারদযুক্ত মাছ
- তুনা, ম্যাকারেল, শার্কের মতো মাছ এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে পারদের উপস্থিতি শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
- রুই, কাতলা বা কম পারদযুক্ত সামুদ্রিক মাছ খাওয়া নিরাপদ।
১০. ধূমপান এবং নিকোটিনযুক্ত পণ্য
- ধূমপান বা নিকোটিনযুক্ত পণ্য দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে, যা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা ও বিকাশজনিত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
- এ সময় ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ রাখা উচিত।
১১. প্যাকেটজাত পানীয় ও কৃত্রিম জুস
- কৃত্রিম মিষ্টি ও সংরক্ষণকারী উপাদানযুক্ত পানীয় শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- প্রাকৃতিক ফলের রস বা তাজা পানীয় গ্রহণ করাই ভালো।
১২. ওষুধ ও ভেষজ উপাদান
- বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ওষুধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিছু শক্তিশালী ভেষজ উপাদান শিশুর শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি
শিশুর সুস্থতা এবং মায়ের আরাম নিশ্চিত করতে বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুকের দুধ নবজাতকের জন্য প্রাথমিক ও প্রাকৃতিক খাদ্য যা তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সঠিকভাবে দুধ খাওয়ানো মায়ের জন্যও উপকারী, কারণ এটি স্তনে দুধের প্রবাহ বজায় রাখে এবং বিভিন্ন জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
নিচে বুকের দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ তুলে ধরা হলো
১. স্তন্যপানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি
- শান্ত ও আরামদায়ক স্থান: দুধ খাওয়ানোর সময় মা ও শিশুর জন্য একটি নিরিবিলি এবং শান্ত পরিবেশ নির্বাচন করুন।
- আরামদায়ক বসার অবস্থান: মায়ের বসার অবস্থান এমন হতে হবে যেন তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আরামে দুধ খাওয়াতে পারেন।
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: স্তন এবং শিশুর মুখমণ্ডল সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
২. শিশুকে সঠিকভাবে ধরে রাখা
শিশুকে সঠিক অবস্থানে ধরে দুধ খাওয়ানো জরুরি। নিচে কিছু সঠিক অবস্থান দেওয়া হলো:
ক) ক্র্যাডল পজিশন (Cradle Position):
- শিশুর মাথা মায়ের হাতের তালুতে রেখে এবং শরীর মায়ের শরীরের দিকে মুখ করে ধরে দুধ খাওয়ানো হয়।
- এটি নবজাতকের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত এবং আরামদায়ক পদ্ধতি।
খ) ক্রস ক্র্যাডল পজিশন (Cross-Cradle Position):
- মায়ের বিপরীত হাত দিয়ে শিশুর মাথা ধরে দুধ খাওয়ানো হয়।
- নতুন মায়েদের জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর, কারণ এতে শিশুকে স্তনের সঠিক অবস্থানে ধরে খাওয়ানো যায়।
গ) ফুটবল পজিশন (Football Hold):
- শিশুর শরীর মায়ের পাশে রেখে তার পা মায়ের পেছনে রাখার অবস্থানে দুধ খাওয়ানো হয়।
- সিজারিয়ান ডেলিভারির পর এটি মায়েদের জন্য আরামদায়ক।
ঘ) সাইড-লায়িং পজিশন (Side-Lying Position):
- শুয়ে থাকা অবস্থায় শিশুকে স্তন্যপান করানোর পদ্ধতি।
- রাতে দুধ খাওয়ানোর সময় এটি খুবই উপযোগী।
৩. শিশুর মুখের অবস্থান নিশ্চিত করা
- শিশুর মুখ স্তনের বোঁটা এবং এর চারপাশের গাঢ় অংশ (অ্যারিওলা) পুরোপুরি ঢাকতে হবে।
- শিশুর নাক স্তনের সমান উচ্চতায় থাকা উচিত এবং ঠোঁট বাইরের দিকে উল্টানো থাকতে হবে।
- বোঁটা সঠিকভাবে ধরার ফলে শিশুর আরাম এবং মায়ের ব্যথামুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়।
৪. স্তন্যপানের সময়কাল নির্ধারণ
- সাধারণত প্রতিটি সেশনের সময়কাল ২০-৩০ মিনিট হয়। তবে শিশুর চাহিদা অনুযায়ী সময় কমবেশি হতে পারে।
- প্রথমে একটি স্তন থেকে দুধ খাওয়ান এবং তা শেষ হলে অন্য স্তন দিন।
- এটি নিশ্চিত করে যে শিশু স্তনের সামনের পাতলা দুধ (Foremilk) এবং পিছনের ঘন দুধ (Hindmilk) উভয়ই পায়।
৫. শিশুর চাহিদা অনুযায়ী দুধ খাওয়ানো
- বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচির প্রয়োজন নেই।
- শিশুর ক্ষুধার লক্ষণ যেমন কান্না, ঠোঁট চাটানো বা হাত চোষার লক্ষণ দেখে দুধ খাওয়ান।
- প্রথম কয়েক মাস প্রতিদিন ৮-১২ বার দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন হতে পারে।
৬. দুধ খাওয়ানো বন্ধ করার সঠিক পদ্ধতি
- যখন শিশুর পেট ভরে যায়, তখন সে স্বাভাবিকভাবে স্তন ছেড়ে দেবে।
- মায়ের উচিত ধীরে ধীরে শিশুর মুখ স্তন থেকে সরানো।
- যদি শিশু শক্তভাবে স্তন চুষে ধরে থাকে, তবে একটি আঙুল স্তনের পাশে রেখে চুষা বন্ধ করতে সহায়তা করুন।
আরো পড়ুন: রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়
৭. মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন, কারণ স্তন্যপানের সময় মায়ের শরীরে পানির চাহিদা বাড়ে।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন যাতে দুধের মান বজায় থাকে।
- অতিরিক্ত চাপ এবং ক্লান্তি এড়িয়ে চলুন।
৮. সাধারণ সমস্যাগুলোর সমাধান
ক) স্তন ব্যথা বা ফাটা বোঁটা:
- শিশুকে সঠিক অবস্থানে ধরে দুধ খাওয়ান।
- ব্যথা কমাতে ময়েশ্চারাইজার বা স্তনদুগ্ধ ব্যবহার করুন।
খ) স্তনে দুধ জমে যাওয়া:
- নিয়মিত দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এই সমস্যা এড়ানো যায়।
- গরম পানির সেঁক নেওয়া উপকারী হতে পারে।
গ) পর্যাপ্ত দুধ না পাওয়া:
- শিশুকে বারবার দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে দুধ উৎপাদন বাড়ানো যায়।
- প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৯. বিশেষ নির্দেশনা
- প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
- শিশুর চাহিদা অনুযায়ী দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি মায়ের নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার যত্ন নেওয়া জরুরি।
- কোনো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপসংহার: মায়েদের উচিত বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর উপাদান রাখার পাশাপাশি ক্ষতিকর খাবার এড়িয়ে চলা। এ সময় সচেতন খাদ্যাভ্যাস শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url