তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত-ইসলামের দৃষ্টিকোণ

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত: ইসলামের দৃষ্টিকোণ

ভূমিকা

তাহাজ্জুদ নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ইবাদত। এটি রাতের বিশেষ সময়ে আদায় করা হয় এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ও ক্ষমা প্রার্থনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরআন ও হাদীসে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

তাহাজ্জুদ এর অর্থ

তাহাজ্জুদ শব্দটি আরবি "হুজুদ" থেকে উদ্ভূত, যার মূল অর্থ হলো ঘুমানো। "তাহাজ্জুদ" অর্থ হলো "ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া"। এটি বিশেষভাবে রাতের বেলা ঘুম থেকে উঠে ইবাদত করার নির্দেশ করে।

তাহাজ্জুদ নামাজের মূল অর্থ ও গুরুত্ব

অর্থ: তাহাজ্জুদ নামাজের অর্থ হলো রাতের বেলা ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিশেষ নামাজ আদায় করা।

নামাজের ধরণ: এটি একটি নফল নামাজ, অর্থাৎ ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ইবাদত।

সময়: রাতের শেষ তৃতীয়াংশে এই নামাজ আদায় করা উত্তম, কারণ এই সময়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সম্ভাবনা বেশি।

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

কুরআনের দৃষ্টিতে

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন:

"আর রাতে কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়ুন—এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত; আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রশংসিত স্থানে উত্তোলন করবেন।" (সূরা আল-ইসরাঃ ৭৯)

এই আয়াত থেকে স্পষ্ট হয় যে, তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয় একটি ইবাদত এবং এটি মানুষকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।

হাদীসের দৃষ্টিতে

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বলেছেন:

"রাত্রির নামাজকে নিজেদের জন্য অবশ্যিক কর। কেননা এটি তোমাদের পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অভ্যাস ছিল এবং এটি তোমাদের রবের নৈকট্য লাভের মাধ্যম। এটা পাপের কাফফারা এবং শরীরের রোগ-ব্যাধির প্রতিবিধান।" (তিরমিযী, হাদীস ৩৫৪৯)

"আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নামাজ হলো দাউদ (আঃ) এর নামাজ। তিনি রাতের প্রথমভাগে ঘুমাতেন এবং শেষভাগে নামাজ পড়তেন।" (বুখারী, হাদীস ১১৩১)

সাহাবীদের দৃষ্টিতে

সাহাবীগণ (রাযি.) তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব বুঝতেন এবং তারা এটি নিয়মিত আদায় করতেন। তারা মনে করতেন যে, রাতের অন্ধকারে আল্লাহর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো তাঁদের ইমানকে মজবুত করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে সহায়ক হয়।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

নিয়তের গুরুত্ব

ইসলামে যে কোনো ইবাদতের জন্য নিয়ত বা ইচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ত ছাড়া ইবাদত গ্রহণযোগ্য হয় না। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করার সময় মন থেকে এই ইচ্ছা পোষণ করতে হয় যে, আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছি।

নিয়ত করার পদ্ধতি

তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষ কোনো নিয়তির বাক্য নেই যা মুখে বলতে হবে। নিয়ত হচ্ছে অন্তরের কাজ, যা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করতে হয়। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়, তবে কেউ চাইলে উচ্চারণ করতেও পারেন।

নিয়তির উদাহরণ
আপনার মনে মনে নিম্নলিখিত ইচ্ছা বা নিয়ত করতে পারেন:

  • আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছি।
  • অথবা মুখে নিম্নলিখিতভাবে উচ্চারণ করতে পারেন:
বাংলা: "আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চাই।"

নিয়তের সরলতা

ইসলামে নিয়তকে সরল ও সহজ রাখা হয়েছে। এটি অন্তরের একটি ইচ্ছা যা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়। নিয়ত করার সময় মনোযোগ এবং আন্তরিকতা থাকা জরুরি।
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের পদ্ধতি

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের সময় মূলত একই নিয়ম অনুসরণ করতে হয় যা অন্য যেকোনো নফল নামাজের জন্য প্রযোজ্য। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়, রাকাত সংখ্যা এবং দোয়ার বিশেষত্ব রয়েছে:
  • সময়: তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আদায় করা উত্তম। ফজরের নামাজের আগে পর্যন্ত পড়া যেতে পারে।
  • রাকাত সংখ্যা: সাধারণত দুই রাকাত করে আদায় করা হয়, তবে ইচ্ছামতো রাকাত সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে
  • নিয়ত: নিয়ত করে দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করুন।
  • দোয়া: নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়

সময় নির্ধারণ

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের সঠিক সময় নির্ধারণ করতে হলে রাতকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। সাধারণভাবে, ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সময়কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
  • প্রথম ভাগ: ইশার নামাজের পর থেকে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ।
  • দ্বিতীয় ভাগ: মধ্যরাত।
  • তৃতীয় ভাগ: রাতের শেষ তৃতীয়াংশ, যা ফজরের নামাজের আগে শেষ হয়।
উত্তম সময়

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের জন্য সবচেয়ে উত্তম সময় হলো রাতের শেষ তৃতীয়াংশ। এই সময়ে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দার দোয়া কবুল করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

" 'আমাদের প্রভু প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পৃথিবীর আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো; কে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দেবো; কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।" (বুখারি, হাদিস ১১৪৫)

মধ্যরাতের হিসাব

মধ্যরাত নির্ধারণের জন্য মাগরিবের আজানের সময় থেকে ফজরের আজানের সময় পর্যন্ত মোট সময়কে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। সেই সময়ের শেষ ভাগ থেকে তাহাজ্জুদের সময় শুরু হয় এবং ফজরের সময় পর্যন্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ:
  • মাগরিবের সময়: সন্ধ্যা ৬টা
  • ফজরের সময়: ভোর ৫টা
  • মোট সময়: ১১ ঘণ্টা
  • মধ্যরাত: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময়কে দুই ভাগে ভাগ করলে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে মধ্যরাত হয়। তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের উত্তম সময় রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত।

তাহাজ্জুদ নামাজে পড়ার জন্য সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজে নির্দিষ্ট কোনো সূরা পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, কিছু নির্দিষ্ট সূরা পড়া উত্তম হতে পারে এবং বিভিন্ন হাদীসে কিছু সূরার গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য যেকোনো সূরা পড়া যেতে পারে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট সূরা পড়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। নিচে তাহাজ্জুদ নামাজে পড়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূরার তালিকা দেওয়া হলো:

সাধারণভাবে পড়ার সূরা
  • সূরা আল-ফাতিহা: প্রতিটি রাকাতে সূরা আল-ফাতিহা পড়া ফরজ।
  • সূরা ইখলাস (সুরা ১১২): এটি ছোট এবং অর্থবহ একটি সূরা।
  • সূরা আল-ফালাক (সুরা ১১৩): রাত্রিকালীন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
  • সূরা আন-নাস (সুরা ১১৪): সকল প্রকার কুদৃষ্টির বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
দীর্ঘ সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজে দীর্ঘ সূরা পড়া সুন্নত হিসেবে বিবেচিত হয়, যেমন:
  • সূরা আল-বাকারা (সুরা ২)
  • সূরা আল-ইমরান (সুরা ৩)
বিশেষ উল্লেখযোগ্য সূরা

  • সূরা ইয়াসিন (সুরা ৩৬): এটি কুরআনের হৃদয় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে।
  • সূরা আল-মুলক (সুরা ৬৭): এটি রাতে পড়লে কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • সূরা আস-সাজদা (সুরা ৩২): এটি রাত্রিকালীন নামাজে পড়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) উৎসাহিত করেছেন।
  • সূরা আদ-দাহর (সূরা ৭৬): তাহাজ্জুদ নামাজে এটি পড়লে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা নির্ধারণ করেন।
সংক্ষিপ্ত সূরা
  • সূরা আল-আস্র (সুরা ১০৩): সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য।
  • সূরা আল-কাউসার (সুরা ১০৮): সহজ ও ছোট একটি সূরা।
  • সূরা আল-কাফিরুন (সুরা ১০৯): ঈমান ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণের জন্য।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বাক্য নেই যা মুখে বলতে হবে। তবে, কেউ চাইলে আরবি ভাষায় নিয়ত উচ্চারণ করতে পারেন। নিয়তের মূল উদ্দেশ্য হলো অন্তরের ইচ্ছা বা উদ্দেশ্য প্রকাশ করা। নিচে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবি ও তার বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হলো:

আরবি:
"نَوَيْتُ أَنْ أُصَلِّيَ لِلّٰهِ تَعَالَى رَكْعَتَيْنِ صَلَاةَ التَّهَجُّدِ"
বাংলা উচ্চারণ:
"নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাইনি সালাতাত তাহাজ্জুদ"

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজ ইসলাম ধর্মে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। এটি একটি নফল নামাজ হলেও, এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং এটি বান্দার জন্য অসংখ্য ফজিলত নিয়ে আসে। তাহাজ্জুদ নামাজের কিছু বিশেষ ফজিলত নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. আল্লাহর নৈকট্য লাভ

তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন:

"আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়ুন—এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত; আশা করা যায়, আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রশংসিত স্থানে উত্তোলন করবেন।" (সূরা আল-ইসরাঃ ৭৯)

২. দোয়া কবুল হওয়া

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"আবু হুরাইরা (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আমাদের প্রভু প্রতিরাতে, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, ‘কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তাই দেবো? যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, তাকে আমি ক্ষমা করব?" (বুখারি, হাদিস ১১৪৫)

৩. পাপ মোচন

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে পাপ মোচন হয়। হাদিসে উল্লেখ আছে:

"রাত্রির নামাজকে নিজেদের জন্য অবশ্যিক কর। কেননা এটি তোমাদের পূর্ববর্তী নেককার লোকদের অভ্যাস ছিল এবং এটি তোমাদের রবের নৈকট্য লাভের মাধ্যম। এটা পাপের কাফফারা এবং শরীরের রোগ-ব্যাধির প্রতিবিধান।" (তিরমিযী, হাদীস ৩৫৪৯)

৪. ইমান ও তাকওয়া বৃদ্ধি

তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে মানুষের ইমান ও তাকওয়া বৃদ্ধি পায়। এটি আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতা এবং আত্মসমর্পণের প্রতীক।

৫. জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"জান্নাতে এমন ঘর রয়েছে যার বাহিরের অংশ ভিতর থেকে এবং ভিতরের অংশ বাহির থেকে দেখা যায়। আল্লাহ এই ঘর সেই ব্যক্তির জন্য প্রস্তুত রেখেছেন, যে ব্যক্তি কথা বলে কোমলভাবে, ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করে, নিয়মিত রোজা রাখে এবং রাতে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে।" (তিরমিযী)

৬. রুহানি শান্তি ও প্রশান্তি

তাহাজ্জুদ নামাজ মানুষের মনকে প্রশান্তি দেয় এবং রুহানি শান্তি লাভের একটি মাধ্যম। রাতের নীরবতায় আল্লাহর সঙ্গে একান্তে কথা বলার মাধ্যমে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।

৭. রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি

হাদিসে উল্লেখ আছে যে, তাহাজ্জুদ নামাজ শরীরের রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

উপসংহার

তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে, পাপ মোচন হয়, দোয়া কবুল হয় এবং জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করে। নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি এবং আমাদের ইমান ও তাকওয়া বৃদ্ধি করতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব বুঝে তা নিয়মিত আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url