চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার প্রাকৃতিক উপায়-মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার প্রাকৃতিক উপায়-মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

চিকন শরীরের ওজন বাড়ানো একটি সময়সাপেক্ষ এবং সুষম প্রক্রিয়া। প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন বাড়ানোর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রথমেই, খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করতে হবে, যাতে উচ্চ প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। যেমন, ডিম, মাংস, মিষ্টি আলু, বাদাম, দুধ, পনির, এবং শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে। এছাড়া, ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে, যেমন প্রতিদিন তিনবেলা খাবারের পাশাপাশি দুটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়া।
চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার প্রাকৃতিক উপায়

ব্যায়ামের মধ্যে ওজন তোলার ব্যায়াম বা রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং শরীরের পেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী। ব্যায়ামের পর পর্যাপ্ত বিশ্রামও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিশ্রামের সময় পেশির পুনর্গঠন হয়। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে সচল রাখে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, যা ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক।

এছাড়া, মানসিক স্বাস্থ্যও ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। অতিরিক্ত চাপ বা মানসিক অস্থিরতা শরীরের স্বাভাবিক ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। সুতরাং, মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে জীবনযাপন করা উচিত।

চিকন থেকে মোটা হওয়ার জন্য যেসব ব্যায়াম করা উচিত

চিকন থেকে মোটা হওয়ার জন্য এমন কিছু ব্যায়াম করতে হবে যা শরীরের পেশি গঠনে সাহায্য করবে এবং সামগ্রিকভাবে ওজন বাড়াতে সহায়ক হবে। প্রধানত, ওজন তোলার ব্যায়াম বা রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং মোটা হওয়ার প্রক্রিয়ায় কার্যকরী। নিচে কিছু ব্যায়াম দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে চিকন শরীরের পেশি বৃদ্ধি পেতে পারে:

আরো পড়ুন:গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়- কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

স্কোয়াট (Squat): স্কোয়াট হলো একটি সম্পূর্ণ দেহের ব্যায়াম যা পায়ের পেশি, হিপস এবং গ্লুটসকে শক্তিশালী করে। এটি করার জন্য, পায়ের কাঁধের সমান দূরত্বে দাঁড়িয়ে কোমর নিচু করে বসার ভঙ্গি করতে হবে, তারপর আবার দাঁড়াতে হবে। আপনি চাইলে ডাম্বেল বা বারবেল ব্যবহার করতে পারেন।

ডেডলিফট (Deadlift): এই ব্যায়ামটি শরীরের নিচের অংশের পেশি এবং পিঠের পেশি গঠনে সহায়তা করে। এটি করার জন্য, পা একটু দূরে রেখে দাঁড়ান এবং মাটিতে রাখা ওজন তুলে দাঁড়ান।

বেঞ্চ প্রেস (Bench Press): বেঞ্চ প্রেস ব্যায়ামটি বুক, কাঁধ এবং বাহুর পেশির জন্য উপকারী। একটি বেঞ্চের ওপর শুয়ে বারবেল বা ডাম্বেল তুলে বুকের দিকে নিয়ে আসা এবং তা আবার উপরে তুলে নেওয়া এই ব্যায়ামের মূল কাজ।

ওভারহেড প্রেস (Overhead Press): কাঁধের পেশি গঠনের জন্য এই ব্যায়ামটি খুবই উপকারী। দাঁড়িয়ে বা বসে, মাথার উপরে ডাম্বেল বা বারবেল উত্তোলন করে হাত পুরোপুরি সোজা করা হয়।

পুল আপস (Pull-Ups): পুল আপস একটি শক্তিশালী ব্যায়াম যা পিঠ, বাহু এবং কাঁধের পেশির উন্নতি ঘটায়। একটি বার ধরে নিজের শরীরকে উপরে টেনে তুলতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে নামতে হবে।

লাঞ্চেস (Lunges): লাঞ্চেস পায়ের পেশি এবং গ্লুটসের জন্য কার্যকরী। এটি করার জন্য, এক পা সামনে নিয়ে হাঁটু বাঁকিয়ে নিচু হতে হবে এবং তারপর আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।

বারবেল রো (Barbell Row): পিঠ এবং বাহুর পেশি বাড়াতে সহায়ক এই ব্যায়াম। সামনে সামান্য ঝুঁকে বারবেল বা ডাম্বেল ধরে তা পেটের দিকে টানতে হবে এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে।

প্রতিদিনের ব্যায়াম রুটিনে এই ধরনের ভারোত্তোলন ব্যায়ামগুলো অন্তর্ভুক্ত করা শরীরের পেশি গঠন এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ব্যায়ামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রোটিন ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, যাতে শরীরের পেশি পুনর্গঠন এবং বৃদ্ধি পায়।

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

মোটা হওয়ার জন্য একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ, যা শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং চর্বি সরবরাহ করবে। নিচে একটি উদাহরণস্বরূপ খাদ্য তালিকা দেওয়া হলো, যা মোটা হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে:
প্রাতঃরাশ:
  • ডিম: ২-৩টি ডিম (ফ্রাই বা অমলেট)
  • পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধ: ১ গ্লাস
  • ওটস বা সিরিয়াল: দুধের সঙ্গে খাওয়া
  • পিনাট বাটার বা বাদাম: ২ টেবিল চামচ (টোস্টের উপর মাখানো)
  • ফল: কলা, আপেল বা আম
সকালের স্ন্যাকস:
  • বাদাম ও শুকনো ফল: ১ মুঠো বাদাম, কাঠবাদাম, কিশমিশ, কাজু
  • গ্রীক দই বা সাধারণ দই: ১ কাপ
  • ফলের জুস: ১ গ্লাস (পূর্ণ চর্বিযুক্ত)
দুপুরের খাবার:
  • ভাত বা রুটি: পর্যাপ্ত পরিমাণে (সাদা ভাত বা গমের রুটি)
  • মাংস/মাছ/ডাল: মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা মাছ, অথবা ডাল
  • সবজি: সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকোলি, বা মিষ্টি আলু
  • আলু বা মিষ্টি আলু: সেদ্ধ বা ভাজা
  • তেল বা ঘি: রান্নায় পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল বা ঘি ব্যবহার করা
বিকেলের স্ন্যাকস:
  • মুরগির মাংসের স্যান্ডউইচ বা হালকা খাবার: রুটি বা টোস্টের সঙ্গে মুরগির মাংস
  • ফল: আপেল, কমলা বা আঙুর
  • চকোলেট মিল্ক বা শেক: পূর্ণ চর্বিযুক্ত চকোলেট মিল্ক
রাতের খাবার:
  • ভাত বা রুটি: দুপুরের মতোই
  • প্রোটিন: মুরগির মাংস, গরুর মাংস, বা মাছ
  • শাকসবজি: পর্যাপ্ত পরিমাণে
  • মটরশুটি বা ডাল: ডাল বা মটরশুটির কারি
ঘুমানোর আগে:
  • পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধ: ১ গ্লাস
  • চিজ বা পনির: কিছুটা
  • ফল: একটি কলা বা অন্য কোনো ফল
অতিরিক্ত টিপস:

বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার: স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার যেমন বাদাম, চিজ, পিনাট বাটার, এবং ডার্ক চকোলেট।

প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো: প্রোটিন শরীরের পেশি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

বারবার খাবার খাওয়া: দিনে ৫-৬ বার ছোট ছোট খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে, তবে খাবারের সময় অতিরিক্ত পানি না খাওয়ার চেষ্টা করবেন, যাতে ক্যালোরি গ্রহণ ব্যাহত না হয়।

এই খাদ্য তালিকা অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বাড়তে শুরু করবে।

সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়

৭ দিনের মধ্যে মোটা হওয়া সম্ভব নয়, কারণ শরীরের ওজন বাড়ানো বা মোটা হওয়ার প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে ঘটে। তবে, কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে আপনি এই ৭ দিনের মধ্যে ওজন বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করতে পারেন। দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে, দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির জন্য ধৈর্য ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের প্রয়োজন। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো, যা ৭ দিনে শুরু করে ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে:

১. উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ: আপনার খাদ্যতালিকায় উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার যোগ করুন। এতে ওজন দ্রুত বাড়বে। কিছু উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার হলো:
  • পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধ, দই ও চিজ
  • বাদাম ও বাদামের মাখন (পিনাট বাটার, আলমন্ড বাটার)
  • চকলেট, অ্যাভোকাডো, মাখন, ও ঘি
  • ভাত, পাস্তা, ও আলু
  • ডিম, মাংস, মাছ ও মটরশুটি
২. ঘন ঘন ও বড় পরিমাণে খাবার খাওয়া:দিনে তিনবার বড় মিলের পরিবর্তে ৫-৬ বার ছোট ছোট খাবার খান। এভাবে আপনি পুরো দিন ধরে ক্যালোরি গ্রহণ বাড়াতে পারবেন। প্রতিবার খাবার খাওয়ার সময় নিশ্চিত করুন যে তাতে পর্যাপ্ত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি রয়েছে।
৩. প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান: প্রোটিন ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে, যা ওজন বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন অন্তত ১.৫-২ গ্রাম প্রোটিন প্রতি কেজি ওজনের জন্য গ্রহণ করতে হবে। ভালো প্রোটিনের উৎস:
  • ডিম
  • মুরগির মাংস, গরুর মাংস
  • মাছ
  • ডাল, মটরশুটি
  • দই ও দুধ
৪. শক্তিশালী ব্যায়াম (ওজন তোলার ব্যায়াম): ওজন বাড়ানোর জন্য পেশি বৃদ্ধি জরুরি। এজন্য রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং বা ওজন তোলার ব্যায়াম (যেমন স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস) করুন। পেশি যত বৃদ্ধি পাবে, আপনার ওজন ততই বাড়বে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন এবং সপ্তাহে ৩-৪ দিন ভারোত্তোলনের ব্যায়াম করতে পারেন।

৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: ব্যায়ামের পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেশি গঠনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের সময় শরীরের পেশি পুনর্গঠন হয়, যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন।

৬. হেলদি ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়া: বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করলে দ্রুত ক্যালোরি গ্রহণ করা সম্ভব হয়। ভাত, পাস্তা, রুটি, আলু ইত্যাদি খেতে হবে। এছাড়া অ্যাভোকাডো, বাদাম, চিজ, মাখন ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করতে হবে।

৭. প্রচুর পানি পান: ওজন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। শরীরের প্রতিটি কোষে জলীয় উপাদান থাকা জরুরি। তবে, খাবারের ঠিক আগে বা খাবার খাওয়ার সময় প্রচুর পানি পান করবেন না, কারণ এতে ক্ষুধা কমে যেতে পারে।

চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার প্রাকৃতিক উপায়

চিকন শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে মোটা করার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং জীবনযাপনের কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। এটি ধীরে ধীরে, স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। নিচে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা হওয়ার কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো:

১. সঠিক পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ:
প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা হতে হলে প্রথমে খাদ্য তালিকায় উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই ধরনের খাবার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি এবং পুষ্টি সরবরাহ করে।

  • প্রোটিন: প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে। ডিম, মাংস, মাছ, ডাল, মটরশুটি, বাদাম, দুধ এবং দই খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি।
  • কার্বোহাইড্রেট: ভাত, রুটি, পাস্তা, আলু, মিষ্টি আলু এবং ওটস খেলে ক্যালোরি বাড়ে এবং শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে।
  • স্বাস্থ্যকর চর্বি: অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল, বাদাম, চিজ, পিনাট বাটার, এবং ঘি থেকে স্বাস্থ্যকর চর্বি পাওয়া যায়, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সহায়ক।
২. ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস: চিকন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া কঠিন হতে পারে। তাই দিনে ৫-৬ বার ঘন ঘন এবং ছোট ছোট খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি যোগ করবে।

৩. প্রোটিন শেক এবং স্মুদি: হোমমেড প্রোটিন শেক বা স্মুদি মোটা হওয়ার একটি সহজ এবং সুস্বাদু উপায়। দুধ, ফল, বাদাম, ওটস, চকলেট বা পিনাট বাটার দিয়ে প্রোটিন শেক তৈরি করে খাবারের পাশাপাশি বা স্ন্যাক হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

৪. শক্তিশালী ব্যায়াম: ওজন বাড়ানোর সময় পেশি বৃদ্ধির জন্য ভারোত্তোলন বা রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং খুবই কার্যকর। স্কোয়াট, ডেডলিফট, বেঞ্চ প্রেস, পুল-আপস ইত্যাদি ওজন তোলার ব্যায়াম শরীরের পেশি গঠন করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন ওজন তোলার ব্যায়াম করা উচিত।

৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম: ব্যায়ামের পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ভালো ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। ঘুমের সময় শরীর পেশি পুনর্গঠন এবং পুনরুদ্ধার করে, যা ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা জরুরি।

৬. মানসিক চাপ কমানো: চাপ বা মানসিক অস্থিরতা অনেক সময় ওজন কমানোর কারণ হতে পারে। তাই, চাপমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করতে হবে। ধ্যান, যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

৭. স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্ন্যাকস যোগ করা উচিত, যেমন বাদাম, ডার্ক চকোলেট, ফল, দই ইত্যাদি। এগুলো উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত এবং পুষ্টিকর হওয়ায় ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

৮. পর্যাপ্ত পানি পান: পানি শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে এবং পেশি গঠনে সহায়তা করে। তবে খাবারের সময় অতিরিক্ত পানি না পান করে খাবারের আগে বা পরে পানি পান করতে হবে, যাতে ক্যালোরি গ্রহণে কোনো বাধা না আসে।

প্রাকৃতিকভাবে মোটা হতে হলে ধৈর্য এবং সময় প্রয়োজন। খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থভাবে ওজন বাড়ানো সম্ভব।

উপসংহার: চিকন স্বাস্থ্য মোটা করার প্রাকৃতিক উপায়গুলির মধ্যে প্রধানত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম অন্তর্ভুক্ত। স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির জন্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার, বিশেষ করে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করা জরুরি। ভারোত্তোলনের মতো ব্যায়াম পেশি গঠনে সহায়তা করে, যা ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়ক। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণও ওজন বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোর জন্য ধৈর্য এবং সময় দেওয়া প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url