কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
মহিলাদের মাসিক চক্রে নির্দিষ্ট কিছু সময় সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, যাকে প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন সময় বলে। সাধারণত মাসিকের প্রথম দিন থেকে গুনে ১০ থেকে ১৭তম দিনের মধ্যে ডিম্বাণু মুক্ত হয়, যা ওভুলেশন নামে পরিচিত। এই সময় ডিম্বাণু মুক্ত হওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। শুক্রাণু মহিলার দেহে ৩-৫ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে, তাই ওভুলেশনের আগের কয়েকদিনও সন্তান ধারণের জন্য অনুকূল সময়।
পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। শুক্রাণু মহিলার দেহে ৩-৫ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে, তাই ওভুলেশনের আগের কয়েকদিনও সন্তান ধারণের জন্য অনুকূল সময়।
বাচ্চা নেওয়ার উপযুক্ত বয়স
বাচ্চা নেওয়ার উপযুক্ত বয়সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি জটিল ও ব্যক্তিগত বিষয়, যা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিভিন্ন দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত।
শারীরিক দিক:
মহিলাদের শারীরিক প্রজনন ক্ষমতা সাধারণত কৈশোর থেকে শুরু হয় এবং বয়সের সাথে সাথে ধীরে ধীরে কমে আসে। সাধারণভাবে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং এই সময়ে বাচ্চা নেওয়ার সম্ভাবনা ভালো থাকে। ৩৫ বছর বয়সের পর মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমতে শুরু করে এবং ৪০ বছরের পর ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুন: পুরুষের যৌন শক্তি বাড়ানোর উপায়
পুরুষদের ক্ষেত্রে, যদিও বয়সের সাথে সাথে শুক্রাণুর গুণগত মান কমে, তবে তাদের প্রজনন ক্ষমতা সাধারণত অনেক বেশি সময় ধরে থাকে। তবে পুরুষদেরও ৪০ বছরের পর প্রজনন স্বাস্থ্য কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে।
মানসিক প্রস্তুতি:
সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত মানসিক প্রস্তুতির উপরও নির্ভর করে। একজন বাবা বা মা হিসেবে শিশুর যত্ন, লালন-পালন এবং শিক্ষার দায়িত্ব নিতে সক্ষমতা থাকা জরুরি। মানসিক প্রস্তুতি ছাড়া বাবা-মা হওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক:
বাচ্চা নেওয়ার সময় পরিবার এবং সমাজের বিভিন্ন দিকও গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে স্বীকৃত সম্পর্ক, যেমন বিয়ে, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং একটি নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার প্রস্তুতি থাকাটা বাচ্চা নেওয়ার সময় বিবেচনা করতে হয়। আর্থিকভাবে প্রস্তুত না থাকলে বাচ্চার লালন-পালন এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে।
ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা:
বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ক্যারিয়ার এবং শিক্ষার উপরও প্রভাব ফেলে। একজন মা বা বাবার ক্যারিয়ার বা উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যগুলিকে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্তে সামঞ্জস্য করতে হয়। অনেকেই ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে পরিবার এবং কর্মজীবনের মধ্যে একটি ভালো ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।
সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
সন্তান লাভের জন্য দোয়া এবং আমল ইসলামি শিক্ষায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য দোয়া করা এবং নিয়মিত কিছু আমল অনুসরণ করলে আল্লাহর রহমতে সন্তান লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এখানে কিছু দোয়া ও আমল উল্লেখ করা হলো, যা সন্তান লাভের জন্য করা যেতে পারে:
সন্তান লাভের জন্য দোয়া:
১. হযরত জাকারিয়া (আঃ)-এর দোয়া:
সন্তান লাভের জন্য হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর দোয়াটি কোরআনে উল্লেখিত। এটি সন্তান প্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা হিসেবে পড়া যায়।
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
উচ্চারণ: "রাব্বি লা তাযারনী ফারদাও ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসিন।"
অর্থ: "হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে নিঃসন্তান রেখো না, তুমি তো সেরা উত্তরাধিকারী।" (সূরা আল-আম্বিয়া: ৮৯)
২. সূরা আস-সাফফাতের দোয়া:
এই দোয়াটি সন্তান লাভের জন্য একটি শক্তিশালী প্রার্থনা হিসেবে ধরা হয়:
رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণ: "রাব্বি হাব লি মিনাস-সালেহীন।"
অর্থ: "হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নেক সন্তান দান করো।" (সূরা আস-সাফফাত: ১০০)
৩. সূরা আল-ইমরানের দোয়া:
হযরত ইমরান (আঃ)-এর স্ত্রী যেভাবে সন্তানের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, তা থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে:
رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
উচ্চারণ: "রাব্বি হাব লি মিল্লাদুনকা জুররিয়াতান তয়্যিবাতান ইন্নাকা সামীউদ-দু'আ।"
অর্থ: "হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তানের দান করো। তুমি তো দোয়া শোনার মতো।" (সূরা আল-ইমরান: ৩৮)
সন্তান লাভের জন্য আমল:
১. তাহাজ্জুদ নামাজ:তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। রাতের শেষ প্রহরে ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য দোয়া করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমল।
2. কুরআন তিলাওয়াত:নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা এবং বিশেষ করে সূরা মারিয়াম ও সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সূরাগুলি পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও সন্তানের জন্য বরকত প্রার্থনা করা যায়।
৩. সাদকাহ এবং নফল ইবাদত:সাদকাহ (দান) আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম মাধ্যম। যারা সন্তান লাভে ইচ্ছুক, তারা নিয়মিত সাদকাহ দিতে পারেন এবং নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য দোয়া করতে পারেন।
৪. দম্পতির মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা:ইসলামে দম্পতির সম্পর্কের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা, সম্মান এবং আন্তরিকতা বজায় রাখা সন্তান লাভের সম্ভাবনাকে বাড়াতে পারে। ইসলামে দাম্পত্য সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেমন নিয়মিত সহবাসের আগে ও পরে দোয়া করা।
বিশেষ দোয়া:
স্বামী-স্ত্রী একসাথে আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য দোয়া করতে পারেন। একে অপরের জন্য কল্যাণ কামনা করা এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত অনেক দম্পতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবনের একটি বড় পদক্ষেপ। সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকটা মহিলার মাসিক চক্রের উপর নির্ভর করে। প্রকৃতপক্ষে, সহবাসের সঠিক
সময় নির্বাচন করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে মহিলাদের শারীরিক প্রজনন প্রক্রিয়া এবং উর্বর সময় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
সময় নির্বাচন করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে গেলে মহিলাদের শারীরিক প্রজনন প্রক্রিয়া এবং উর্বর সময় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
মাসিক চক্র এবং ডিম্বস্খলন (Ovulation):মাসিক চক্র মহিলাদের প্রজনন ব্যবস্থার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা গড়ে ২৮ দিন স্থায়ী হয়, যদিও এটি ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হতে পারে। এই চক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো ডিম্বস্খলন। ডিম্বস্খলন হলো সেই প্রক্রিয়া যখন ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে মুক্ত হয় এবং গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত হয়। সাধারণত, মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে অর্থাৎ ১১ থেকে ২১তম দিনের মধ্যে ডিম্বস্খলন ঘটে। যদি চক্রটি ২৮ দিনের হয়, তবে ১৪তম দিনে ডিম্বস্খলন ঘটে।
উর্বর সময় (Fertile Window):ডিম্বস্খলন বা ওভুলেশন চক্রের সবচেয়ে উর্বর সময়। ওভুলেশন চলাকালে ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে মুক্ত হয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউবে যায় এবং পুরুষের শুক্রাণুর সাথে মিলিত হতে প্রস্তুত থাকে। ডিম্বাণু মুক্ত হওয়ার পরে প্রায় ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকে, এই সময়ের মধ্যেই শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে নিষেক প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে শুক্রাণু মহিলার শরীরে ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে, ফলে ওভুলেশনের আগে এবং পরে কয়েক দিন সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সময়কেই উর্বর সময় বা "ফার্টাইল উইন্ডো" বলা হয়।
সর্বোচ্চ সন্তান ধারণের সম্ভাবনা:সহবাসের সঠিক সময় নির্বাচন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। সন্তান ধারণের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা থাকে ওভুলেশন অর্থাৎ ডিম্বস্খলনের দিন এবং তার আগের ২-৩ দিন। এটি হল উর্বর সময়ের একদম মাঝামাঝি। এই সময়ের মধ্যে সহবাস করলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
উর্বর সময় সনাক্তকরণ:
উর্বর সময় সনাক্ত করার জন্য মহিলারা বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন:
- বেসাল বডি টেম্পারেচার (BBT): প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীরের তাপমাত্রা মাপা। ওভুলেশনের সময় তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে।
- সার্ভিকাল মিউকাস পরিবর্তন: মাসিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে সার্ভিকাল মিউকাসের প্রকৃতিতে পরিবর্তন আসে। ওভুলেশনের সময় এটি স্বচ্ছ এবং ফাঁপা (stretchy) হয়।
- ওভুলেশন কিট: ওভুলেশন কিট ব্যবহার করে প্রস্রাবে হরমোনের পরিবর্তন মাপা যায়, যা ওভুলেশন সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
ছেলে বাচ্চা নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি
ছেলে বাচ্চা নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত নয়। তবে কিছু তত্ত্ব ও ধারণা রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে ছেলে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এসব তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুবই সীমিত এবং সাফল্যের হার অগত্যা নিশ্চিত নয়। তবুও, কয়েকটি পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:
১. শেটলস পদ্ধতি (Shettles Method):ড. ল্যান্ড্রাম শেটলস দ্বারা প্রণীত এই পদ্ধতি অনুসারে, ছেলে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করতে বলা হয়:
- সহবাসের সময় নির্বাচন: ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য ডিম্বস্খলনের দিন বা তার কাছাকাছি সময় সহবাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ Y-ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু দ্রুত সাঁতরাতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারে না। তাই ডিম্বস্খলনের সময় সহবাস করলে দ্রুতগামী Y-শুক্রাণুর ডিম্বাণুতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- সহবাসের গভীরতা: গভীরভাবে সহবাস করলে শুক্রাণু দ্রুত সার্ভিক্সের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, যা ছেলে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন:
কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে। যেমন:
- সোডিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: উচ্চ সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে বলে দাবি করা হয়। এসব খাবারের মধ্যে লবণ, কলা, আলু, মাশরুম প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।
- আলকেলাইন ডায়েট: ছেলে সন্তান নেওয়ার জন্য শরীরকে আলকেলাইন পরিবেশে রাখতে বলা হয়, যা Y-শুক্রাণুর জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে।
৩. প্রাকৃতিক প্রভাব ও লিঙ্গ নির্ধারণ:
প্রাকৃতিকভাবে লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় কাজ করে, যার মধ্যে রয়েছে হরমোনের পরিবর্তন, প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন জীবনযাত্রার অভ্যাস। তবে কোনো পদ্ধতিই ১০০% নিশ্চয়তা দেয় না।
৪. লিঙ্গ নির্ধারণের চিকিত্সা পদ্ধতি:
কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন স্পার্ম সেপারেশন এবং প্রী-ইমপ্ল্যান্টেশন জেনেটিক ডায়াগনোসিস (PGD), সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের চেষ্টা করে। তবে এই পদ্ধতিগুলি সাধারণত শুধুমাত্র চিকিত্সাগত কারণে ব্যবহৃত হয় এবং অনেক দেশে এই ধরনের পদ্ধতি আইনীভাবে অনুমোদিত নয়।
সতর্কতা:
ছেলে সন্তান নেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করার আগে অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে এই পদ্ধতিগুলির কার্যকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় এবং কিছু পদ্ধতির ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে। সন্তানের লিঙ্গ সম্পর্কে পরিকল্পনা করতে গেলে এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, এবং ছেলে বা মেয়ে উভয়ই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান।
উপসংহার:মহিলাদের মাসিক চক্রের উর্বর সময়ে (fertile window) সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাধারণত ডিম্বস্খলনের (ovulation) দিন এবং এর আগের ২-৩ দিনকে উর্বর সময় হিসেবে ধরা হয়। মাসিক চক্র যদি ২৮ দিনের হয়, তবে সাধারণত ১৪তম দিনে ডিম্বস্খলন ঘটে। ডিম্বস্খলনের সময় সহবাস করলে Y-ক্রোমোজোমযুক্ত দ্রুতগামী শুক্রাণুর ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে।
আলজেবা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url